ঈদে বাড়ি ফেরা

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও পাটুরিয়া ফেরিঘাট আজও ফাঁকা

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক-পাটুরিয়া ফেরিঘাট আজও ফাঁকা
পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যাত্রী ও গাড়ির চাপ তেমন একটা নেই। ছবিটি আজ শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে তোলা। ছবি: স্টার

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক এবং পাটুরিয়া ফেরিঘাটে আজও যানবাহনের তেমন চাপ নেই। যানবাহন কম থাকায় লঞ্চের পাশাপাশি ফেরিতে পার করা হচ্ছে যাত্রীদের।

আজ শুক্রবার মানিকগঞ্জের মহাসড়ক ও নৌপথ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

আজ ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশের সদস্যরা মহাসড়কে গাড়ির শৃঙ্খলা রক্ষায় সারিবদ্ধভাবে রাখতে সহায়তা করছেন। মহাসড়কের কোথাও যানজট চোখে পড়েনি। পাটুরিয়া ঘাটের কোথায়ও অপেক্ষমাণ গাড়ির লাইন দেখা যায়নি। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক হয়ে আসা গাড়ি ও যাত্রীরা খুব সহজেই ফেরি ও লঞ্চে পাটুরিয়া ঘাট থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যেতে পারছেন। কোথায়ও কোনো ধরণের ভোগান্তি চোখে পড়েনি।

প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, জিপ, মোটরসাইকেল ও ছোট মালবাহী পিকআপ ভ্যানের জন্য আলাদা লেন থাকায় খুব সহজেই এসব গাড়ি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের টেপড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে পাটুরিয়া ঘাটে চলে যেতে পারছে। পর্যাপ্ত ফেরি সচল থাকায় এসব গাড়ি অল্প সময়ের মধ্যেই পদ্মা নদী পার হয়ে পাটুরিয়া থেকে রাজবাড়ির দৌলতদিয়া প্রান্তে যেতে পেরেছে। 

তবে, মহাসড়কে বাস যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয় সহকারী মহাব্যবস্থাপক (মেরিন) আবদুস সাত্তার বলেন, 'এবার ঈদ যাত্রায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে রো রো, কে-টাইপ, ইউটিলিটি এবং ড্রাম ফেরিসহ মোট ২০টি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ৭টি ফেরি বরাদ্দ রয়েছে। বর্তমানে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৮টি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ৬টি ফেরি চলাচল করছে।'

বিআইডব্লিইটিসি আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, 'সাধারণত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ভোগান্তি ছাড়াই ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা খুব সহজেই পারাপার হতে পারছেন। সকাল ১০টায় পাটুরিয়া ঘাটে ২০-২৫টি ছোট গাড়ি, ৩০-৩৫টি বাস ফেরিতে উঠার লাইনে রয়েছে। তবে, কিছু সংখ্যক ট্রাক রয়েছে। এসব ট্রাক ফাঁকে ফাঁকে পার করা হচ্ছে।'

লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার পান্না লাল নন্দী বলেন, 'যাত্রীদের বাড়তি চাপ এখনো হয়নি। তবে, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ যাত্রী সংখ্যা কিছুটা বেশি। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এই নৌপথে যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে।'

বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান বলেন, 'অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সুযোগ নেই। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকলে অবশ্যই ওই বাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

3h ago