মহাসড়কে কোথাও যানজট নেই: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছে, ঈদ যাত্রার তৃতীয় দিনে সড়কে ঘর মুখো মানুষের চাপ রয়েছে তবে কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। আজ বিকেল থেকে মহাসড়কে চাপ বাড়তে পারে। তবে চাপ সামাল দিতে প্রস্তুত আছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে আশুলিয়ার বাইপাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, গতকাল আমি নিজে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ও রেল স্টেশনে ভিজিট করেছি। আজকেও আমরা সব সিনিয়র অফিসাররা মিলে গাজীপুর চৌরাস্তা ও চন্দ্রা মোড় ভিজিট করেছি। এখনও আমরা যেটা দেখছি, যানবাহন স্বাভাবিক ভাবেই চলাচল করছে। কোনো যানজট সৃষ্টি হয়নি। তবে ধারণা করছি, আজ বিকেল থেকেই সড়কে একটা চাপ হতে পারে। এই চাপের সামাল দিতে আমরা প্রস্তুত আছি।
পুলিশ প্রধান আরও বলেন, আমি নিজে বিভিন্ন জায়গা ভিজিট করেছি। বেশি ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি আমার চোখে পড়েনি। সাংবাদিক বন্ধুরা এমন অভিযোগ পেলে আমাদের জানাবেন। যাত্রীদের যাত্রা সুগম করতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নেব।
কর্মমুখী মানুষেরা গ্রামে গেলে ফাঁকা হবে শিল্পাঞ্চল, এই সময়টায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাপারে তিনি বলেন, সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। প্রতিষ্ঠান নিজস্ব একটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখবে। আমরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, জেলা পুলিশের ইউনিটগুলো এখানে সক্রিয় থাকব। আমরা সবাই মিলে আমাদের দায়িত্ব পালন করব। তাদেরকে সহযোগিতা করব, তাদেরকে আমরা অনুরোধ করব কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে আপনারা ৯৯৯ এ কল করবেন। আমরা সেখানে সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যাব।
তিনি বলেন, চন্দ্রায় আজ থেকে ১০/১২ বছর আগে কি অবস্থা ছিল? এখন অনেক বাইপাস হয়েছে, ওভারপাস হয়েছে। এর কারণে চলাচল অনেক সহজ হয়েছে। আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ নিয়ে পদ্মা সেতু করেছেন। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ পদ্মা সেতু দিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্নমুখী উদ্যোগের কারণে ঈদযাত্রা সুগম হয়েছে। আগামীতে আরও হবে।
আইজিপি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি তাতে জেলা পুলিশ, মেট্রোপলিটিন পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশসহ পুলিশের বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিট, এপিবিএন, র্যাব, আনসার সদস্যরা ছাড়াও পুলিশের সব ইউনিট কাজ করছে। আমাদের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও কাজ করছেন।
সারা দেশের বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছে। আমরা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করছি। নিরবচ্ছিন্নভাবে সাংবাদিক বন্ধুগণ আমাদের সহযোগিতা করছে। আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহযোগিতা পাচ্ছি, মালিক শ্রমিকের সহযোগিতা পাচ্ছি। এসব কারণে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এবারের ঈদযাত্রা সহজ হবে। সবাই স্বচ্ছন্দে যার যার গন্তব্যে যেতে পারবে।
আরেকটি কথা বলতে চাই যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছার পরে সেখানে যাতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে সেই ব্যাপারেও আমাদের যথাযথ ব্যবস্থা থাকবে, যোগ করেন তিনি।
যাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা বিনীতভাবে অনুরোধ করছি গাড়িতে উঠে আপনারা কারও কাছ থেকে খাবার নেবেন বা। আমরা অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টিসহ বিভিন্ন গ্রুপকে ধরেছি। আমরা একটা উৎসব পালনের জন্য যাচ্ছি, যদি সতর্ক থাকি তাহলে উৎসবটা আনন্দের সাথে পালন করতে পারব। নিজের ভুলের জন্য উৎসবের আনন্দটা মাটি করে দিতে পারি না।
এ সময় ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএমসহ ঢাকা জেলা পুলিশের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
Comments