সিলেটের ৪ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৬ দিন গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হবে, বাড়বে লোডশেডিং

স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

আইওসি শেভরন বাংলাদেশ লিমিটেডের বাৎসরিক রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য সিলেটের জালালাবাদ গ্যাস প্ল্যান্ট ৪ দিন আংশিক ও ২ দিন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড।

এ সময় সিলেটের ৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হতে পারে জানিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ। তবে এ সময় আবাসিক গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে।

এমন পরিস্থিথিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ কমে গিয়ে সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় আগামী ২৪ তারিখ পর্যন্ত লোডশেডিং বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বিভাগ (বিপিডিবি)।

সিলেটের ৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সাময়িক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার বিষয়টি জানাতে গত ১৮ এপ্রিল জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (টিএসডি) মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সই করা একটি চিঠি পাঠানো হয়।

জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) খান মো. জাকির হোসাইন চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হলো- বিপিডিবির অধীন কুমারগাঁও ১৫০ মেগাওয়াট ও কুমারগাঁও ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এবং বেসরকারি ইউনাইটেড পাওয়ার লিমিটেড (২৫ মেগাওয়াট) ও দেশ ক্যামব্রিজ রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (১০ মেগাওয়াট)।

এ ৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্রই সিলেট নগরীর কুমারগাঁওয়ে অবস্থিত।

জালালাবাদ গ্যাসের পাঠানো চিঠি অনুসারে, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে ১৯ থেকে ২১ এপ্রিল ও ২৪ এপ্রিল গ্যাস সরবরাহ আংশিক (দৈনিক ৮ ঘন্টা) এবং ২২ ও ২৩ এপ্রিল ৪০ ঘণ্টা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। আংশিক বন্ধের সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে স্বল্পচাপজনিত সমস্যা থাকতে পারে এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন কমানোর প্রয়োজন হতে পারে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বিভাগ (বিপিডিবি) সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, 'কুমারগাঁওয়ের এই প্ল্যান্টগুলো থেকে উৎপাদন হয় ২২৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এর মধ্যে সিলেটে লাগে ১৬৩ মেগাওয়াট। বাকিটা সুনামগঞ্জ জেলায় সরবরাহ করা হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হবে। এর ফলে ঈদের সময় লোডশেডিং বাড়বে।'

তিনি আরও বলেন, 'বিষয়টি জানার পর আমরা আলোচনায় বসেছিলাম। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে শেভরনের প্রকৌশলীরা ইতিমধ্যে দেশে চলে আসায় আপাতত আর কিছু সম্ভব হচ্ছে না।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

12h ago