মঙ্গল শোভাযাত্রায় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটকে অংশ নিতে ‘বাধার’ অভিযোগ

এ ছাড়া মোটিফ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা, ভেঙে দেওয়া এবং জোটের কর্মীদের লাঞ্চিত করারও অভিযোগ করা হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত

মঙ্গল শোভাযাত্রায় 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল', 'বিচার বহির্ভূত হত্যা বন্ধ কর' এবং 'দাম কমাও জান বাঁচাও' লেখা মোটিফ নিয়ে অংশগ্রহণ করায় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ছাড়া মোটিফ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা, ভেঙে দেওয়া এবং জোটের কর্মীদের লাঞ্চিত করারও অভিযোগ করা হয়েছে।

গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সহ-সমন্বয়ক নজীর আমিন চৌধুরী জয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ জানানো হয়েছে।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতারা বলেন, 'মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালির জাতীয় জীবনে প্রতিবাদের সংস্কৃতি হিসেবে এসেছিল। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময়ে এ দেশের ছাত্র-জনতা বর্ষবরণকে স্বৈরাচার-মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছিল। কিন্তু আওয়ামী সরকারের আমলে নববর্ষ, শোভাযাত্রাকে তার মূল চেতনা থেকে সরিয়ে স্রেফ আয়োজন সর্বস্ব করে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গল শোভাযাত্রায় স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বাধা প্রদানের মতো নেক্কারজনক ঘটনায় প্রতিয়মান হয়, সব ধরনের ভিন্নমত দমনের ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ এই সার্বজনীন উৎসবের মধ্যেও ঘটছে। সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও শোভাযাত্রার আয়োজকদের মধ্যে আওয়ামী সমর্থকরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরোধীতা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সমালোচনা, বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধের দাবি পর্যন্ত সহ্য করতে পারছে না।'

এটা স্পষ্টতই মঙ্গল শোভাযাত্রার গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ পহেলা বৈশাখ উদযাপনের সংগ্রামী ইতিহাস ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান। 

জোট নেতৃবৃন্দ জানান, আওয়ামী সরকারের দীর্ঘ শাসনামলে একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে, অন্যদিকে মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলতে গিয়ে, মত প্রকাশ করতে গিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো নিপীড়নমূলক আইনে দমন-পীড়নের শিকার হচ্ছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, শোভাযাত্রার পর রাজু ভাস্কর্যের পাশে ছাত্র জোটের উদ্যোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম বাধা দেয়। পরে জোটের নেতাকর্মীদের তোপের মুখে তারা স্থান ত্যাগ করেন। 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক চারুকলা অনুষদের ২৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ওম প্রকাশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্যে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং দ্রব্যমূল্য কমানো সংক্রান্ত প্ল্যাকার্ড অপ্রাসঙ্গিক মনে করে আমজনতা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাধা দিয়েছে। এর সঙ্গে আয়োজক কমিটির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।'

তিনি আরও বলেন, 'পরবর্তীতে এ বিষয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সঠিক তথ্য জানানো হবে।'

 
 

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

7h ago