তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে আইনি লড়াই চালানোর আবেদন খারিজ

তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান। ছবি: সংগৃহীত
তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের অনুপস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে। একইসঙ্গে ২৯ মার্চ বিবাদীদের অনুপস্থিতিতে তাদের পক্ষে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে জমা দেওয়া আবেদনটিও নাকচ করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান এই আদেশ দেন।

শুনানিতে অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার উচ্চ আদালতের বিভিন্ন রায়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে 'পলাতক' আসামি যথাযথ আদালতে হাজির হতে না পারলেও তিনি আইনজীবী পেতে পারেন।

তবে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট উভয়ই বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছে এবং রায় দিয়েছেন যে একজন পলাতক ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে কোনো আইনজীবী আদালতে তার পক্ষ সমর্থন করতে পারবেন না।

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি আদালত এই মামলায় তারেক ও জোবায়দাকে ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাজির হওয়ার জন্য একটি প্রজ্ঞাপন দিতে সরকারকে নির্দেশ দেন আদালত।

তারেক রহমানকে আদালতে হাজির করা হচ্ছে। ফাইল ছবি: এএফপি
তারেক রহমানকে আদালতে হাজির করা হচ্ছে। ফাইল ছবি: এএফপি

একই আদালত গত বছরের ১ নভেম্বর দুদকের মামলা আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক রহমান ও জোবায়দাকে 'পলাতক' ঘোষণা করেন এবং দুর্নীতি মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদন খারিজ করে দেন।

একই সঙ্গে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের করা মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে দ্রুত বিচারিক কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

তারেক ও জোবায়দা ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে রয়েছেন।

২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় তারেক, তার স্ত্রী জোবায়দা ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ২ কোটি ১৬ লাখ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন সংস্থা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০০৯ সালের ৩১ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

তবে ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম প্রত্যাহার করা হয়।

এর আগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তারেক রহমানের।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাসহ আরও দুটি মামলায় তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Fulfilling sky-high expectations Yunus govt’s key challenge

Says ICG report on completion of interim govt’s 100 days in office

2h ago