দুবাইয়ে কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতায় ৬৫ দেশের মধ্যে প্রথম বাংলাদেশি তাকরিম

কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় ৬৫ দেশের ৭০ জনের মধ্যে প্রথম বাংলাদেশি তাকরিম
তাকরিমের হাতে পুরস্কার তুলে দেন দুবাইয়ের শাসক পরিবারের সদস্য শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ মুহাম্মদ আল মাকতুম। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের ৬৫টি দেশের ৭০ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে ২৬তম দুবাই আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন ১৪ বছর বয়সি বাংলাদেশি হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম।

আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুমের তত্ত্বাবধানে 'হলি কোরআন অ্যাওয়ার্ড' প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার হিসেবে তাকরিম পেয়েছেন আড়াই লাখ দিরহাম। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৭ লাখ।

গত মঙ্গলবার দুবাইয়ের এক্সপো প্রাঙ্গণে তাকরিমের হাতে পুরস্কার তুলে দেন দুবাইয়ের শাসক পরিবারের সদস্য শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ মুহাম্মদ আল মাকতুম। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুরআন প্রতিযোগিতার ভাইস প্রেসিডেন্ট সায়েদ হারেব৷

প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছেন ইথিওপিয়ার আব্বাস হাদি উমর। তৃতীয় স্থান অর্জন করেন সৌদি আরবের খালিদ সুলাইমান।

গত ২৪ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় তাকরিম ছিলেন বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি।

এর আগে ২৭ মার্চ প্রতিযোগিতায় বিচারকদের করা ৫টি প্রশ্নের সবগুলোর উত্তর দেন হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিম। সেদিন প্রায় ২৫ মিনিট তেলাওয়াত করতে হয় তাকে।

এর আগে হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম গত বছর সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১১১টি দেশকে পেছনে ফেলে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন। ইরান আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় সপ্তম স্থান অর্জন করেন।

দুবাই আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতার এবারের আসরে প্রথমবারের মতো শায়খ শোয়াইব মোহাম্মদ নামে বাংলাদেশি একজন বিচারক বিচারকাজ পরিচালনার সুযোগ পান। তিনি মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ইলমুল কেরাত ওয়াত তাজবিদ' ডিগ্রি অর্জন করেন। তার বাড়ি ঢাকার শ্যামপুরে।

লেখক: আমিরাতপ্রবাসী সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
10-bed ICU

Life-saving care hampered in 25 govt hospitals

Intensive Care Units at 25 public hospitals across the country have remained non-functional or partially operational over the last few months largely due to a manpower crisis, depriving many critically ill patients of life-saving care.

9h ago