নিউইয়র্কে বাংলাদেশি ইমিগ্রান্ট ডে ও ট্রেড ফেয়ার, সহযোগিতায় এফবিসিসিআই

নিউইয়র্কে বাংলাদেশি ট্রেড ফেয়ার

নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য '৬ষ্ঠ বাংলাদেশি ইমিগ্রান্ট ডে ও ট্রেড ফেয়ার ২০২৩' আয়োজনে অংশীদারিত্বমূলক সহযোগিতা করবে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

আগামী ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর এই ট্রেড ফেয়ার অনুষ্ঠিত হবে।

'সুযোগের উন্মোচনে স্মার্ট অর্থনীতি' প্রতিপাদ্য নিয়ে মুক্তধারা নিউইয়র্ক ও ইউএসএ বাংলাদেশ বিজনেস লিংক গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্সের সহযোগিতায় নিউইয়র্কের ম্যারিয়ট মারকুইস হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানটি অনুমোদিত দিয়েছে এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এরই মধ্যে মেলাটিকে এর ক্যালেন্ডারে তালিকাভুক্ত করেছে।

মুক্তধারা নিউইয়র্কের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, '৬ষ্ঠ বাংলাদেশি ইমিগ্রান্ট ডে ও ট্রেড ফেয়ার—২০২৩' আয়োজনে সহায়তার জন্য এফবিসিসিআই ইতোমধ্যেই তাদের সম্মতি দিয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এই ইভেন্টটি বাংলাদেশি বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক শোকেসের নিখুঁত সংমিশ্রণ হিসাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এর লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহজতর করতে অবদান রাখা।'

তার মতে, এই ইভেন্টে বাংলাদেশি পণ্যের স্টলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি ও যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার ব্যবসায়ীদের জন্য আইটি-বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করা হবে।

তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বাড়াতে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এই ট্রেড শোতে অংশ নিতে যাচ্ছে। ইপিবি ইতোমধ্যেই ব্যাংকিং ও ফিন্যান্স সার্ভিস, ক্যাপিটাল মার্কেট, রেডিমেড ও টেক্সটাইল, মেডিকেল ও ফার্মাসিউটিক্যালস, এগ্রো অ্যান্ড এগ্রো প্রসেসড, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, আইটি ও আইটি পরিষেবা, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হস্তশিল্প, পাট ও পাটের নানান পণ্য এবং রিয়েল এস্টেটসহ অন্যান্য খাতকে এই ট্রেড শোতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত 'বাংলাদেশি ইমিগ্রান্ট ডে ও ট্রেড ফেয়ার ২০২২' এ বাংলাদেশের ৩০টিরও বেশি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী নেতারা সেশনগুলোয় অংশ নেন। গত বছর ইভেন্ট চলাকালে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক সহযোগিতা প্রসারের অপার সম্ভাবনার স্বীকৃতির জন্য এফবিসিসিআই এবং গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল।

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

3h ago