‘চট্টগ্রামে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারে বেলজিয়াম’

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায় বেলজিয়াম। আর এক্ষেত্রে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে মেয়রের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত দিদিয়ের ভান্ডেরহেসেল্ট।

এ সময় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, `চট্টগ্রাম ঐতিহাসিকভাবেই বন্দর ও বাণিজ্য নগরী হিসেবে বিখ্যাত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের এই বাণিজ্য সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে টানেল নির্মাণ থেকে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন খাতে বিশাল বিনিয়োগ করেছেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রামে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে, যা চট্টগ্রামকে বিশ্বের বাণিজ্যিক হাবে পরিণত করবে।'

তিনি আরও বলেন, 'বেলজিয়াম চট্টগ্রামে বিনিয়োগ করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। এক্ষেত্রে আমি পূর্ণ সহযোগিতা করব।'

বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত দিদিয়ের ভান্ডেরহেসেল্ট বলেন, 'ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিতীয় বৃহৎ বন্দরের মালিক বেলজিয়াম। চট্টগ্রামের বন্দর ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনা যাচাই করতে আমরা চট্টগ্রামে এসেছি এবং পর্যবেক্ষণ থেকে চট্টগ্রামে বিনিয়োগের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত ইতিবাচক।'

তিনি আরও বলেন, `বর্তমানে বাংলাদেশে বেলজিয়ামের বেশ কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা পরিচালনা করছে। ভবিষ্যতে বেলজিয়ামের আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে ভারী শিল্প এবং প্রযুক্তিখাতে বেলজিয়ামের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।'

সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ, বেলজিয়ামের বাণিজ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশে বেলজিয়ামের  সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পরিচালনাকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

Comments

The Daily Star  | English
FY26 Bangladesh budget subsidy allocation 2025-26

FY26 Budget: Subsidy spending to hold steady

The budget for fiscal 2025-26 is likely to be smaller than the current year’s outlay, but subsidy spending is expected to remain almost unchanged at Tk 1,15,741 crore.

9h ago