‘এটা তো নির্বাচনই হয়নি’
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবার যে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হলো, তার পরিপ্রেক্ষিতে সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের নেতা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঙ্গে কথা বলেছে দ্য ডেইলি স্টার।
দ্য ডেইলি স্টার: ঐতিহ্যের সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন এবার এত ঘটনাবহুল কেন?
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন: জাতীয় থেকে শুরু করে সব নির্বাচন-ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে। একইভাবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ঐতিহ্যও ধ্বংস করে দিলো।
ডেইলি স্টার: দায় শুধুই আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের? আপনাদের বিরুদ্ধেও তো অনেক অভিযোগ।
ব্যারিস্টার মাহবুব: শুরু থেকে ঘটনাক্রম বিশ্লেষণ করলে যে কেউ বুঝতে পারবেন, দায় আমাদের না তাদের।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নিয়ম অনুযায়ী ১৪ সদস্যের কার্যকরী কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ৬ জন কমিশনার খুঁজবে। বর্তমান কার্যকরী কমিটিতে ৭ জন বিএনপি ও ৭ জন আওয়ামী লীগ সমর্থিত সদস্য রয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার নিয়ে আলোচনা সভায় বসেই বর্তমান সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুন নূর দুলাল নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৭ জনের নাম ঘোষণা করেন। তখন বিএনপিপন্থী সদস্যরা বলেন, আমাদেরও প্রস্তাব আছে। কিন্তু তারা কোনো কথা না শুনে এককভাবে নাম ঘোষণা করেন। তখন বিএনপিপন্থী সদস্যরাও ফরিদুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে ৭ জনের একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করে।
ওইদিন সভায় সভাপতিত্ব করছিলেন বর্তমান সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির। ভোট হলে তার ভোট দেওয়ার কথা না। তাহলে তাদের ৬টি ভোট হয়, আর আমাদের হয় ৭টি। সভাপতি ভোট দিলেও হয়ে যায় উভয়পক্ষেরই ৭টি করে। উভয়পক্ষের ভোট সমান হলে আলোচনার বিষয় চলে আসে।
ডেইলি স্টার: এসব ক্ষেত্রে সমাধানের উপায় কী?
ব্যারিস্টার মাহবুব: রেওয়াজ আছে, যদি নিজেরা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারি, তাহলে সাবেকদের পরামর্শ নিতে হবে। তারা তাতে রাজি না।
আমরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করে সব জানালাম। তিনি যেন এই বিষয়টি সমাধানের ব্যবস্থা নেন। যেহেতু ৭-৭ ভোটে আলোচনা শেষ হয়েছে, ২টি কমিটি করা হয়েছে, সেহেতু একটা সমাধানে আসতে হবে। প্রধান বিচারপতি তখন ডাকলেন মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও আবদুন নূর দুলালকে। তাদেরকে বললেন, সুপ্রিম কোর্টের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এরপর তারা আবার আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন। সেই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি এ. জে. মোহাম্মদ আলী, জয়নাল আবেদিন, মোমতাজ উদ্দিন ফকির, আবদুন নূর দুলাল ও আমি।
ডেইলি স্টার: নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটি গঠনের পরও এত জটিলতা তৈরি হলো কেন?
ব্যারিস্টার মাহবুব: কমিটি গঠনের কথাই বলছি। আলোচনায় আমরা ৩টি নাম প্রস্তাব করি, যেখানে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মনসুরুল হক চৌধুরীর নামও ছিল। তিনি ইতোপূর্বে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করেছিলেন। কিন্তু তার ব্যক্তিত্ব ও সততার কারণে তার ওপর আমরা আস্থা রেখেছিলাম। তারাও নির্বাচন উপ-কমিটির প্রধান হিসেবে মনসুরুল হক চৌধুরীর বিষয়ে রাজি হন। উপ-কমিটির বাকি ৬ সদস্যের মধ্যে ৩ জনের নাম তারা দিলেন এবং ৩ জনের নাম আমরা দিলাম। সর্বসম্মতিক্রমে এই ৭ জনের নাম নির্ধারণ হলো এবং কার্যকরী কমিটির অনুমোদন পেল।
এই নির্বাচন উপ-কমিটি কাজ শুরু করার পর সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মোমতাজ উদ্দিন ফকিররা ধরে নিলেন যে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা হেরে যাবেন। এক পর্যায়ে তারা মনসুরুল হক চৌধুরীর চেম্বারে গিয়ে বলেন যে নির্বাচনের ব্যালট পেপার তারা ছাপাবেন। অথচ, ১৯৪৮ সাল থেকেই নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছেপে আসছে নির্বাচন উপ-কমিটি।
ডেইলি স্টার: ব্যালট পেপার তারা ছাপাবেন, এই অভিযোগ কিসের ভিত্তিতে করছেন? সেখানে তো আপনি উপস্থিত ছিলেন না।
ব্যারিস্টার মাহবুব: মনসুরুল হক চৌধুরী পরবর্তীতে আমাকে বিষয়টি বলেছেন।
তাদের ব্যালট পেপার ছেপে দেওয়ার প্রস্তাবে মনসুরুল হক চৌধুরী বলেন, এটা তো হয় না। নির্বাচনের বিষয়ে সবকিছু করবে নির্বাচন উপ-কমিটি। তখন মনসুরুল হক চৌধুরীর সঙ্গে খুবই দুর্ব্যবহার করা হয় এবং তাকে চরম অপমান করা হয়। তারা মনসুরুল হক চৌধুরীকে বলেন, আপনি তো আওয়ামী লীগের লোক। এর প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের লোক হয়েছি তো কী হয়েছে, নিয়ম তো ভাঙতে পারব না।
মোমতাজ উদ্দিন ফকির আমার সামনেই মনসুরুল হক চৌধুরীকে বলেছেন, 'আপনি বায়াসড। আপনি পক্ষপাতিত্ব করছেন।'
ডেইলি স্টার: ১২ মার্চ নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভা হয়েছিল..
ব্যারিস্টার মাহবুব: সেটাই বলছি। ওই সভাতেও মনসুরুল হক চৌধুরীকে সবার সামনে মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেছিলেন, 'আপনি বায়াসড'। ভোট গণনার বিষয়ে আলোচনায় মনসুরুল হক চৌধুরী মেশিনের প্রস্তাব দেন। আমরা বলেছি, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু মোমতাজ উদ্দিন বলেন, ব্যালট পেপার হাতে গুণতে হবে।
মনসুরুল হক চৌধুরী উভয় পদ্ধতিতেই গণনা করতে চাইলে মোমতাজ উদ্দিন বলেন, মেশিন বাদ দিতেই হবে। তখন সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচন উপ-কমিটি এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সেখানে মোমতাজ উদ্দিন অব্যাহতভাবে মনসুরুল হক চৌধুরীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে থাকলে তিনি বলেন, 'এটা আমার ভলেন্টারি জব। আপনি আমাকে হিউমিলিয়েট করতে পারেন না। আপনি এমন আচরণ করলে আমি পদত্যাগ করব।' তখন মোমতাজ উদ্দিন বলেন, 'পদত্যাগ করলে করেন।'
ওই দিনের পরও তারা মনসুরুল হক চৌধুরীকে অপমান করা অব্যাহত রাখলেন, যাতে তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর নির্বাচনের আগের দিন আমরা শুনলাম যে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
ডেইলি স্টার: শুনলাম মানে? পদত্যাগের বিষয়টি আপনাদের জানানো হয়নি?
ব্যারিস্টার মাহবুব: না, কিছুই জানানো হয়নি। শুধু তাই না, তারা নিজেরাই নতুন একজনকে আহ্বায়কের দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছে। সেটাও জানানো হয়নি।
ডেইলি স্টার: মূল জটিলতা কি তখনই শুরু হলো?
ব্যারিস্টার মাহবুব: বিষয়টি পরিষ্কার করে বলি। নিয়ম অনুযায়ী সবকিছু হলে জটিলতা হওয়ার কথা ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে বিধি অনুযায়ী কার্যকরী কমিটির ১৪ জনের সভায় আবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা। আর যদি ৬ জনের নির্বাচন উপ-কমিটিই থাকে, তাহলেও সেখানে যিনি সবচেয়ে সিনিয়র তাকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা। কিন্তু সভাপতি এই দায়িত্ব দিলেন মো. মনিরুজ্জামানকে, যিনি জ্যেষ্ঠতার হিসেবে নির্বাচন উপ-কমিটির সদস্যদের মধ্যে ছিলেন পঞ্চম। তার আগের ৪ জনের মধ্যে ২ জন ছিলেন আমাদের আর ২ জন তাদের।
বিধি অনুযায়ী মনিরুজ্জামান আহ্বায়ক হতে পারেন না। এমনকি কার্যকরী কমিটির কোনো সভা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং কাউকে কিছুই জানানো হয়নি। রাতে খবর পেয়ে আমরা গিয়ে দেখলাম, মো. মনিরুজ্জামান ব্যালট পেপারে সই করছেন। ৩-৪ জনকে দেখলাম ব্যালট পেপারে সিল মারছে। গত জাতীয় নির্বাচনের মতো রাতেই ভোট দিয়ে রাখছে। তখন মনিরুজ্জামানকে চ্যালেঞ্জ করে বলি, 'ব্যালট পেপারে সই করার আপনি কে? ভোট দেওয়া হচ্ছে কেন?' ব্যালট পেপারে নাম ছিল মনসুরুল হক চৌধুরীর। সেটা ইরেস করে মনিরুজ্জামানের নামের সিল মারা হচ্ছিল। আমাদের চ্যালেঞ্জের পর ব্যালট পেপার নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর রাতেই আমাকেসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করে মনিরুজ্জামান মামলা করেন।
ডেইলি স্টার: অভিযোগ আছে, আপনি তখন ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছেন, ছিঁড়ে ফেলেছেন। সে কারণেই মামলা হয়েছে।
ব্যারিস্টার মাহবুব: সই ও সিল মেরে ভোট দিয়ে রাখাকে চ্যালেঞ্জ করেছি। ব্যালট পেপার দেখতে চেয়েছি। সেটাকে তারা বলছে ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছি। মিথ্যা অভিযোগ।
ডেইলি স্টার: সকালে আপনারা ভোটগ্রহণ শুরু করতে দিচ্ছিলেন না কেন?
ব্যারিস্টার মাহবুব: ভোটগ্রহণের দিন সকালে আহ্বায়কের দায়িত্ব পালনকালে আমরা আবারও চ্যালেঞ্জ করি মনিরুজ্জামানকে। তিনি বলেন, 'সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির আমাকে বলেছেন আহ্বায়ক হিসেবে কাজ করতে।' তখন তার কাছে এই দায়িত্ব পালনের সপক্ষে ডকুমেন্ট চাইলে সবার সামনেই তিনি জানান, এমন কোনো ডকুমেন্ট তার কাছে নেই। এসব নিয়ে বিতর্ক চলাকালেই অডিটোরিয়ামের ভেতরে ৪-৫ দফা ধাক্কাধাক্কি হয়।
হঠাৎ করেই মোমতাজ উদ্দিন নিজে ছুটে গিয়ে পুলিশ নিয়ে আসেন অডিটোরিয়ামে। কয়েকজনকে দেখিয়ে পুলিশকে তিনি বলেন, 'এদের গ্রেপ্তার করুন'। আমি পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করার পর তারা একটু অপ্রস্তুত হয়ে জানান, তারা কাউকে গ্রেপ্তার করতে আসেননি। এক পর্যায়ে পুলিশ সেখান থেকে চলে যায়।
কিছুক্ষণ পর মোমতাজ উদ্দিন আবারও পুলিশ ডাকতে যান এবং সেখানে দায়িত্বে থাকা এডিসি হারুনকে বলেন, 'মাহবুব উদ্দিন খোকনকে গ্রেপ্তার করেন, তা না হলে নির্বাচন করতে পারছি না'। এডিসি হারুন তাকে বলেছেন, 'আপনি আমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন কেন? আপনি কে?' তখন তিনি নিজেকে প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দেন। এডিসি হারুন তাকে বলেন, 'আমি আপনার অধীনে চাকরি করি না। আদালতের ভেতরে ঢুকতে হলে প্রধান বিচারপতির অনুমতি প্রয়োজন। তিনি সেটা পুলিশ কমিশনারকে জানালে কমিশনার আমাদেরকে এ বিষয়ে নির্দেশ দিবেন'। এসব কথা যখন হচ্ছিল, তখন সেখানে আমাদের ৪-৫ জন লোক ছিলেন। পুলিশ ওই সময়ে আর ভেতরে ঢোকেনি।
এ ঘটনার আধাঘণ্টা পর এডিসি হারুনের মোবাইলে একটা কল আসে এবং এরপরেই কয়েক শ পুলিশ অডিটোরিয়ামে প্রবেশ করে। সেখানে তারা নির্বিচারে হামলা চালায় এবং আইনজীবীদের পিটিয়ে আহত করে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আইনজীবীদের ওপর হামলা করেছে পুলিশ, এমনকি সাংবাদিকদেরও ছাড় দেয়নি। পুরো এলাকা পুলিশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পৌনে ১টার দিকে ভোটগ্রহণ শুরু করে।
ডেইলি স্টার: বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা নির্বাচনে বাধা দেওয়ায় পুলিশ তাদের পিটিয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকদের কেন পেটাল পুলিশ?
ব্যারিস্টার মাহবুব: সাংবাদিকরা এই অবৈধ ভোটের সব তথ্য ভিডিওতে ধারণ করছিলেন, ছবি তুলছিলেন। সাংবাদিকরা যেন এই অবৈধ নির্বাচনের আর কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে না পারেন, সেজন্যই তাদেরকে পিটিয়ে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
ডেইলি স্টার: বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে প্যান্ডেল ভাঙচুরসহ কাপড় ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ আছে।
ব্যারিস্টার মাহবুব: নির্বাচনে এত অনিয়ম দেখে, ক্ষিপ্ত হয়ে এটা সাধারণ আইনজীবীরা করেছেন। পরেও তারা মিছিল করেছেন, কর্মসূচি পালন করেছেন। বিএনপির লোকজন ছাড়া অন্যরাও কর্মসূচি পালন করেছেন।
ডেইলি স্টার: নির্বাচন তো হয়ে গেছে। এখন আপনারা কী করবেন?
ব্যারিস্টার মাহবুব: এটা তো নির্বাচনই হয়নি। আর আমরা পুলিশি অ্যাকশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। নির্বাচন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে কথা বলবেন। তিনি আমাদেরকে স্পষ্ট করে বলেছেন, পুলিশকে সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে ঢোকার অনুমতি তিনি দেননি।
ডেইলি স্টার: তাহলে কে দিলো এই অনুমতি?
ব্যারিস্টার মাহবুব: সেদিনের ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা করেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মোমতাজ উদ্দিন ফকির, আবদুন নূর দুলাল, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে নির্বাচন এলাকায় প্রবেশ করেছে।
ডেইলি স্টার: তারা বললেই বা ডাকলেই পুলিশ আসতে পারে?
ব্যারিস্টার মাহবুব: না, পারে না। প্রধান বিচারপতি ছাড়া আর কেউই এই নির্দেশ দিতে পারেন না। কারণ, তিনিই সুপ্রিম কোর্টের অভিভাবক।
ইংরেজিতে প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন 'We don't even consider it an election'
Comments