রোনালদোর রেকর্ডের রাতে পর্তুগালের গোল উৎসব
আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডের উপলক্ষ রাঙালেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। জোড়া গোল করলেন আল নাসর ফরোয়ার্ড। তার স্মরণীয় ম্যাচে বড় জয়ে ২০২৪ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্ব শুরু করল পর্তুগাল।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের মাঠে লিসবনে 'জে' গ্রুপের একপেশে লড়াইয়ে লিখটেনস্টাইনকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা। ফলে দলটির নতুন কোচ হিসেবে রবার্তো মার্তিনেজের যাত্রা শুরু হয়েছে পূর্ণ পয়েন্ট দিয়ে। রোনালদোর দুই লক্ষ্যভেদের আগে জাল খুঁজে নেন জোয়াও ক্যানসেলো ও বার্নার্দো সিলভা।
এটি ছিল পর্তুগালের জার্সিতে ৩৮ বছর বয়সী রোনালদোর ১৯৭তম ম্যাচ। ফলে কুয়েতের বদর আল মুতাওয়াকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড নিজের করে নেন তিনি। এতদিন ১৯৬ ম্যাচ খেলে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন তারা।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৯৮তম স্থানে থাকা লিখটেনস্টাইনের বিপক্ষে গোটা ম্যাচে দাপট দেখায় পর্তুগিজরা। প্রতিপক্ষের গোলমুখে ৩৫টি শট নিয়ে তারা লক্ষ্যে রাখে ১১টি। আর তাদের নিজেদের গোলমুখে আসা মাত্র দুটি শটের একটি ছিল লক্ষ্যে।
শুরু থেকে সফরকারীদের চেপে ধরা পর্তুগাল প্রথম গোল পায় ম্যাচের অষ্টম মিনিটে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে ক্যানসেলো নেন শট। সেটা লিখটেনস্টাইনের এক ডিফেন্ডারের পা ছুঁয়ে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। গোলরক্ষক বেঞ্জামিন বুখেল বলে হাত লাগালেও গোললাইন পার হওয়া ঠেকাতে পারেননি।
প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর কোনো গোলের উল্লাস করতে পারেনি পর্তুগাল। ব্যবধান দ্বিগুণ করার ভালো সুযোগ হাতছাড়া করেন জোয়াও ফেলিক্স ও রোনালদো। জোয়াও পালহিনহার প্রচেষ্টা রুখে দেন বুখেল। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সেলেসাও দাস কুইনাসরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এলোমেলো হয়ে পড়ে লিখটেনস্টাইন। চার মিনিটের ব্যবধানে তারা হজম করে আরও দুই গোল। ম্যাচের ৪৭তম মিনিটে বাঁ পায়ের শটে নিশানা ভেদ করেন বার্নার্দো। এরপর ৫১তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে জাল কাঁপান রোনালদো। ক্যানসেলো ফাউলের শিকার হওয়ায় স্পট-কিকের বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
সাত মিনিট পর রোনালদো ফের গোল করলেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়। তবে ৬৩তম মিনিটে আর হতাশ হতে হয়নি পাঁচবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী তারকাকে। চমৎকার ফ্রি-কিকে আন্তর্জাতিক ফুটবলের রেকর্ড গোলদাতা নিজের ১২০তম গোলটি করেন তিনি। বলে হাত ছোঁয়াতে পারলেও বুখেল পরাস্ত হন গতিতে।
গোটা ম্যাচে সাতটি সেভ করা লিখটেনস্টাইন গোলরক্ষক বাকি সময়ে আর কোনো উদযাপন করতে দেননি পর্তুগিজদের। তিনি রুখে দেন পালহিনহা, ক্যানসেলো, ব্রুনো ফার্নান্দেস, রুবেন দিয়াস ও গনসালো ইনাসিওর প্রচেষ্টা। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে জোয়াও মারিওর ভলি বাধা পায় পোস্টে।
Comments