উড়োজাহাজ-হেলিকপ্টার কেনায় কর ছাড় চায় এভিয়েশন অ্যাসোসিয়েশন

প্রতীকী ছবি। স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টার এবং এর যন্ত্রাংশ কেনায় কর ছাড় চায় দেশের বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলোর সংগঠন এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি)। 

সংগঠনটি বলছে, দেশের ভঙ্গুর এভিয়েশন খাত টিকে থাকার জন্য এসব কর সহনীয় নয়। এই খাতে আরোপিত ৪ ধরনের কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এওএবি।

আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করে এওএবির সদস্যরা এসব দাবি জানান। বৈঠকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য পাঠানো প্রাক-বাজেট প্রস্তাবে এসব দাবি জানানো হয়।

রাজস্ব বোর্ডকে দেওয়া সংগঠনের মহাসচিব ও নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমানের এক চিঠিতে বলা হয়, 'হেলিকপ্টার-উড়োজাহাজ ও এর যন্ত্রাংশ কেনা বর্তমানে অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এর ওপর আরোপিত কর ৫ শতাংশ, আগাম কর ৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ বিদ্যমান। এসবের ওপর কর কখনো ১০০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। এয়ারলাইনসগুলোর ওপর এসব কর মাত্রাতিরিক্ত অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করে। এতে ব্যবসা পরিচালনা দুঃসাধ্য হয়ে যায়। উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশ ধরনভেদে ২৬ শতাংশ কর হার বিদ্যমান। আগে এসব শুল্ক দেওয়া লাগত না।'

অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জ্বালানির ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে এওএবি বলছে, দেশের এভিয়েশন খাতে জ্বালানির দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বেশি। পৃথিবীর অনেক দেশেই অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জ্বালানি তেলের তারতম্য হয় না। এমনকি ভারতেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জ্বালানি তেলের ওপর আরোপিত মূসক কমিয়েছে।

অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলোতে যাতায়াতে সার্বিক কর কমানোর দাবি জানিয়ে সংগঠনটি বলছে, উচ্চ কর হারের জন্য টিকিটের দাম যাত্রীর ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। যাত্রীসংখ্যা কমে যায়। 

এ ক্ষেত্রে সার্বিক কর ৭২৫ টাকা থেকে আরও ২২৫ টাকা কমানোর দাবি জানিয়েছে এওএবি।

চিঠিতে এওএবি মহাসচিব মফিজুর রহমান বলেন, 'কিছু বিষয়ে অস্বচ্ছতা থাকায় উড়োজাহাজ, ইঞ্জিন ও এর যন্ত্রাংশ আমদানিতে করের কারণে যন্ত্রাংশ ছাড়করণে দীর্ঘসূত্রিতা হয়। ফলে এয়ারলাইনসগুলোকে মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।'

এই খাতের উদ্যোক্তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা দুরুহ বলে চিঠিতে দাবি করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Is the govt secretly backing wrongdoers?

BNP acting chairman Tarique Rahman yesterday questioned whether the government is being lenient on the killers of Lal Chand, alias Sohag, due to its silent support for such incidents of mob violence.

2h ago