লিটনের পর শান্তর ফিফটিতে শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছে তারা।

এই প্রতিবেদন লেখার সময়, তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩১ ওভারে ১৭৯ রান। আবারও বড় সংগ্রহের পথে আছে তারা। ছন্দে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত ৭০ বলে ৬৬ ও সাকিব আল হাসান ১৪ বলে ১৫ রানে ক্রিজে আছেন।

একই ভেন্যুতে আগের ম্যাচে ওয়ানডেতে তাদের দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ার পর ১৮৩ রানের রেকর্ড জয় পায় বাংলাদেশ। এতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।

পাঁচ ম্যাচে শান্তর তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি

সবশেষে পাঁচ ওয়ানডেতে তৃতীয় ফিফটির স্বাদ নেন বাঁহাতি নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্যারিয়ারের আগের ১৫ ওয়ানডেতে একটিও ফিফটি ছিল না তার। ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে ধারাবাহিক পারফর্মার হওয়ার পথে আছেন তিনি।

কার্টিস ক্যাম্ফারের করা ২৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ডাবল নিয়ে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছান শান্ত। সেজন্য তার লাগে ৫৯ বল। ২ চারের সঙ্গে ১ ছক্কা মারেন তিনি।

আউট লিটন

দ্বিতীয় উইকেট জুটি শতরান স্পর্শ করার পরপরই সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। ২৬তম ওভারে পেসার কার্টিস ক্যাম্ফারের নির্বিষ ডেলিভারিতে আউট হন তিনি। ফ্লিক করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের হাতে।

৭১ বলে লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৭০ রান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে ব্যর্থ হওয়া এই ডানহাতি ছন্দে ফেরার আভাস দিয়ে মারেন ৩ চার ও ৩ ছক্কা। তার বিদায়ে ভাঙে ৯৬ বলে ১০১ রানের জুটি। দলীয় ১৪৩ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের।

লিটন-শান্ত জুটির সেঞ্চুরি

বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের জন্য শক্ত ভিত গড়ে দেন লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। রানের চাকাও দারুণভাবে সচল রাখেন তারা। তাদের মধ্যকার দ্বিতীয় উইকেট জুটি শতরান স্পর্শ করে ৯৪ বলে। এই জুটিতে পঞ্চাশ এসেছিল ৫৪ বলে।

ছক্কায় ফিফটি ও দুই হাজার লিটনের

২১তম ওভারের প্রথম বলে আয়ারল্যান্ডের অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু হামফ্রিসকে ছক্কা মারেন লিটন দাস। তাতে হাফসেঞ্চুরির পাশাপাশি ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দুই হাজার রান পূর্ণ করেন তিনি।

হাফসেঞ্চুরির জন্য লিটন খেলেন ৫৪ বল। ২ চারের সঙ্গে মারেন ৩ ছক্কা। আর দুই হাজার রানের মাইলফলকের জন্য তার লাগল ৬৫ ইনিংস। শাহরিয়ার নাফিসেরও লেগেছিল সমান সংখ্যক ইনিংস। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে দুই হাজার রানের মাইলফলকে তারা দুজন যৌথভাবে দ্রুততম।

রান আউটে তামিমের বিদায়

আইরিশদের শুরুর দারুণ বোলিং সামলে জমে উঠছিল বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। তবে রান আউটে তামিম ইকবাল কাটা পড়লে ভেঙে যায় জুটি। পাওয়ার প্লের শেষ বলে থামতে হয় বাংলাদেশ দলনেতাকে।

লিটন দাস ফাইন লেগের দিকে বল ঠেলে দৌড় দেন। সাড়া দিয়ে স্ট্রাইক প্রান্তের দিকে ছোটেন তামিম। কিন্তু প্রয়োজন অনুসারে দ্রুত দৌড়াননি। তিনি ক্রিজে পৌঁছানোর অনেক আগেই সরাসরি দারুণ থ্রোয়ে স্টাম্প ভাঙেন মার্ক অ্যাডায়ার।

৩১ বলে ২৩ রান আসে তামিমের ব্যাট থেকে। তার ইনিংসে ছিল ৪ চার। আরও একবার থিতু হয়ে ইনিংস বড় করা হয়নি তার। দলীয় ৪২ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

খোলসবন্দি লিটনের হাত খোলা

প্রথম ওভারেই লিটন দাসের বিপক্ষে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করে আইরিশরা। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত না দিলে তারা নেয় রিভিউ। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, প্যাডে লাগার আগে বল লিটনের ব্যাট ছুঁয়ে যায়।

এরপর রানের জন্য লড়াই করতে হয় ডানহাতি লিটনকে। আয়ারল্যান্ডের দারুণ বোলিংয়ের পাল্টা জবাব পাচ্ছিলেন না তিনি। দুটি ওভার খেলেন মেডেনও। অবশেষে অষ্টম ওভারে হাত খোলেন তিনি।

গ্রাহাম হিউমের করা ওভারের প্রথম বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে লং অফ দিয়ে হাঁকান ম্যাচের প্রথম ছক্কা। পরের বলেও ডাউন দ্য উইকেটে যান তিনি। এবার মিড উইকেট দিয়ে তিনি মারেন চার। ২২ বলে ৬ রান থেকে তিনি পৌঁছে যান ২৬ বলে ১৭ রানে।

পঞ্চম ওভারে প্রথম বাউন্ডারি

জেঁকে বসা চাপ কমানোর ইঙ্গিত মেলে তামিম ইকবালের ব্যাটে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আসে বাংলাদেশের প্রথম বাউন্ডারি। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে ফ্লিক করে ফাইন লেগ দিয়ে চার মারেন অধিনায়ক তামিম। 

বাংলাদেশের সাবধানী শুরু

তামিম ইকবাল ও লিটন দাসকে শুরুতে হাত খুলতে দেয়নি আয়ারল্যান্ড। দুই পেসার মার্ক অ্যাডায়ার ও গ্রাহাম হিউম আঁটসাঁট বোলিংয়ের বিপরীতে রান করতে সংগ্রাম করেন তারা। ইনিংসের প্রথম চার ওভারে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয় মাত্র ৫ রান।

Comments

The Daily Star  | English

Elections entirely Bangladesh's internal matter: Shafiqul

'Wounds caused by crimes against humanity perpetrated by AL still fresh,' says CA's press secretary

45m ago