যে ভাবনায় উডকে টানা চার বাউন্ডারি মারেন শান্ত
পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে স্কোর বোর্ডে এসে গিয়েছিল ২ উইকেটে ৫৪। ১৫৭ রান তাড়ায় জুতসই শুরু। এরপরের ওভারে গতিময় পেসার মার্ক উডকে টানা চার বাউন্ডারি মেরে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। রানের চাপ হয়ে যায় একদম হালকা। এই ফ্লো ধরেই বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতানোর পথে নিয়ে যান তিনি। ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টিতে হারানোর নায়ক পরে জানিয়েছেন, স্রেফ মোমেন্টাম ধরে রেখেই ম্যাচ টানতে চেয়েছিলেন তিনি।
রনি তালুকদার-লিটন দাসের ব্যাটে প্রথম ৩ ওভারে আসে ৩২ রান। চতুর্থ ওভারে রনির বিদায়ে ক্রিজে আসেন শান্ত। শূন্য রানেই ফিরতে পারতেন। আদিল রশিদের মুখোমুখি দ্বিতীয় বলেই রিভার্স সুইপ করে পড়েছিলেন এলবিডব্লিউর ফাঁদে। রিভিউ নিয়ে পরে রক্ষা পান তিনি।
এরপর আর কোন নড়বড়ে ভাব নয়। তাকে পাওয়া যায় ঝলমলে অবস্থায়। সপ্তম ওভারে উডের বলে মিড অন দিয়ে দুবার, লং অন, মিড অফ দিয়ে বের করে নেন টানা চার বাউন্ডারি। পরে রশিদকেও চেপে বসতে দেননি তিনি।
উডের ওভার থেকে ১৭ রান নেওয়া প্রসঙ্গে জানালেন, কোন পূর্ব পরিকল্পনা নয়, পরিস্থিতির দাবি মিটেছেন কেবল, 'না ওরকম আগে থেকে কোনো পরিকল্পনা ছিল না। বল দেখেছি, ওই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি। ওরকম কিছু ছিল না। গ্যাপটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। তাই হয়তো বাউন্ডারিগুলো মারতে পেরেছি।'
২৪ বলে ফিফটি করে পরে উডের বলেই তার ইনিংস থামে ৫১ রানে। তিনি ফিরে গেলেও ততক্ষণে জেতার কাজটা হয়ে গিয়েছিল একদম সহজ। এমনিতে টি-টোয়েন্টি প্রান্ত ধরে রয়েসয়ে খেলতে দেখা যেত তাকে। এদিন নেমেই দেখান মেরে খেলার ঝাঁজ। জানালেন, আলাদা কোন বার্তা নয়, কেবল মোমেন্টাম ধরে চলতে থাকা সুর টেনে নিতে চেয়েছিলেন তিনি, 'ভালো একটা শুরু পেয়েছিলাম। শুধু ওই মোমেন্টামটা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। আর এমনিতে স্বাভাবিক পরিকল্পনাই ছিল। খুব বেশি বাড়তি কিছু করব, এমন চিন্তা ছিল না। আমি শুধু বল দেখেছি এবং ওভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি।'
Comments