ক্ষমা চাইলেন ইলন মাস্ক

লেইফ থরলিফসন (বাঁয়ে) ও ইলন মাস্ক (ডানে)। ছবি: রয়টার্স
লেইফ থরলিফসন (বাঁয়ে) ও ইলন মাস্ক (ডানে)। ছবি: রয়টার্স

টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সত্ত্বাধিকারী ইলন মাস্ক প্রতিষ্ঠানটির ১ কর্মীর সঙ্গে অনলাইনে বিবাদে জড়িয়ে পড়ার পর তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

আজ বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

হাল্লি থরলিফসন নামের এক কর্মী ইলন মাস্ককে টুইট করে বলেন, 'আপনার মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান নিশ্চিত করতে পারেননি আমার চাকরি আছে না নেই।'

উত্তরে মাস্ক বলেন, 'আপনি কী নিয়ে কাজ করছিলেন?'

এরপর বেশ কয়েক দফা প্রশ্নোত্তরের পর থরলিফসন জানান, তিনি ১টি ই-মেইল পেয়েছেন, যেখানে বলা হয়েছে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এরপর মঙ্গলবার মাস্ক এই টুইটের উত্তরে থরলিফসনকে 'সবচেয়ে খারাপ' কর্মী হিসেবে অভিহিত করে একটি টুইট করেন। পরবর্তীতে তিনি সে টুইট মুছেও দেন।

মাস্কের ডিলিট করা টুইট। ছবি: ডিলিটের আগে নেওয়া স্ক্রিণশট
মাস্কের ডিলিট করা টুইট। ছবি: ডিলিটের আগে নেওয়া স্ক্রিণশট

কয়েক ঘণ্টা পর, মত বদলে ইলন মাস্ক টুইটারে থরলিফসনের কাছে ক্ষমা চান এবং তাকে তার চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন।

তিনি বলেন, 'আমি হাল্লির কাছে ক্ষমা চাইছি, কারণ পরিস্থিতি সম্পর্কে আমার ধারণা ভুল ছিল। আমার ধারণার পেছনে কাজ করেছে আমাকে বলা এমন কিছু কথা, যা সত্য নয়। বা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সত্য হলেও অর্থবহ নয়।'

'তিনি (থরলিফসন) এখন টুইটারে থেকে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছেন', যোগ করেন মাস্ক।

সোমবার থরলিফসন বিবিসিকে জানান, তিনি টুইটারের মানবসম্পদ বিভাগের কাছ থেকে তার ছাঁটাইয়ের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর পাননি।

থরলিফসন বলেন, 'আমার ধারণা, তারা কোনো একটা ভুল করেছে। এখন তারা চুক্তির বাধ্যবাধকতা পূরণের (ক্ষতিপূরণ দেওয়া) বিষয়টি এড়াতে হন্যে হয়ে আমাকে ছাঁটাই করার "যৌক্তিক কারণ" খুঁজছে।'

টুইটার ২০২১ সালে থরলিফসনের ক্রিয়েটিভ এজেন্সি 'ইয়েনো' কিনে নেয়। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে ছাঁটাই করলে টুইটারকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

আইসল্যান্ডের নাগরিক থরলিফসন মাসকুলার ডিসট্রফি নামের রোগে আক্রান্ত। যার ফলে তিনি হুইলচেয়ার ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না।

টুইটারকর্মী হাল্লি থরলিফসন নিজের দেশে বেশ জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। ছবি: টুইটার
টুইটারকর্মী হাল্লি থরলিফসন নিজের দেশে বেশ জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। ছবি: টুইটার

থরলিফসনকে নিয়ে ইলন মাস্কের টুইটের (যেটি ডিলিট হয়েছে) বিষয়ে তার সাবেক সহকর্মীরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

আলোকচিত্রী ড্যানিয়েল হাউটন টুইট করে বলেন, হাল্লি থরলিফসনকে নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য খুবই হতাশাজনক। কাজের ক্ষেত্রে তিনি যে নৈতিকতার মানদণ্ড রক্ষা করেন, তা অতুলনীয় এবং তার প্রতিভা ও নিরহংকারী মনোভাবও বিশ্বমানের।

থরলিফসন বিবিসিকে জানান, চলমান পরিস্থিতি খুবই 'বিচিত্র' এবং 'অত্যন্ত উদ্বেগজনক'।

এ বিষয়ে টুইটারের কাছে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য চাওয়া হলেও প্রতিষ্ঠানটি সাড়া দেয়নি।

 

Comments

The Daily Star  | English
Chinese firms bullish on Bangladesh’s manmade fibre

Chinese firms bullish on Bangladesh’s manmade fibre

Non-cotton garments are particularly lucrative, fetching higher prices than traditional cottonwear for having better flexibility, durability

14h ago