ত্বকী হত্যার ১ দশক

নিষ্ক্রিয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, র‌্যাবের তদন্তে অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে

ত্বকী হত্যার ১ দশক
তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। ছবি: সংগৃহীত

এক দশকেও শুরু হয়নি নারায়ণগঞ্জের মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলার বিচারকাজ। এ পর্যন্ত ৬০ বার এ মামলার নথিপত্র আদালতে উঠেছে। বাদীপক্ষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মামলার অভিযোগপত্র দ্রুত দাখিলের তাগিদও দিয়েছিলেন আদালত।

তবে এখনো অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

দীর্ঘ ১০ বছরেও এই মামলার তদন্ত শেষ করা যায়নি বলে দাবি র‍্যাবের। কবে নাগাদ তদন্ত শেষ হতে পারে, সে বিষয়েও নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। ৮ মার্চ সকালে শীতলক্ষ্যা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।

হত্যাকাণ্ডের এক বছরের মাথায় সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাবের তৎকালীন ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ত্বকী হত্যার কারণ স্পষ্ট, আসামিও চিহ্নিত। অভিযোগপত্রও প্রায় তৈরি। অল্প সময়ের মধ্যে তা আদালতে দাখিল করা হবে।

র‌্যাবের ওই বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়েছিল ত্বকীর পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। অথচ ওই আশ্বাসের পর এখনো বিচার শুরুর অপেক্ষায় তার পরিবার।

ত্বকীর বাবার অভিযোগ, নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের লোকজন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে প্রধানমন্ত্রীর 'অঘোষিত ইনডেমনিটি'র কারণে তৈরি করে রাখা অভিযোগপত্র দীর্ঘ ৯ বছরেও আদালতে জমা দেয়নি র‌্যাব।

ত্বকী হত্যার ১ দশক
তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার দশক পূর্তিতে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় বঙ্গবন্ধু সড়কে ফেস্টুন। ছবি: সৌরভ হোসেন সিয়াম/স্টার

২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেলে শহরের শায়েস্তা খাঁ সড়কের বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় ত্বকী। পরদিন মেধাবী এই কিশোরের এ লেভেল পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।

ত্বকী পদার্থবিজ্ঞানে সারাবিশ্বে ও রসায়নে বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পায়। তবে রেজাল্টশিট দেখার সৌভাগ্য হয়নি তার।

৮ মার্চ সকালে শহরের পাঁচ নম্বর ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর শাখা খাল (কুমুদিনী খাল) থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।

নিখোঁজ হওয়ার দিন বিকেলে শহরের সুধীজন পাঠাগার হয়ে চাষাঢ়ায় বাবার ব্যবসায়িক কার্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল ত্বকীর। সেখানে না যাওয়ায় অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি। মরদেহ উদ্ধারের পর তিনি অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

পরে ১৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, জেলা যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা জহিরুল ইসলাম পারভেজ ওরফে ক্যাঙারু পারভেজ, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাজীব দাস, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন, সালেহ রহমান সীমান্ত ও রিফাত বিন ওসমানকে ত্বকী হত্যার সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অবগতিপত্র দেন রফিউর রাব্বি।

তিনি অভিযোগ করেন, অপহরণের পর ত্বকীকে আজমেরী ওসমানের 'টর্চার সেল' উইনার ফ্যাশনে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। বাদীর আবেদনে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০ জুন মামলাটি পুলিশের থেকে র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর হয়।

এরপর ৭ আগস্ট উইনার ফ্যাশনে অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে রক্তমাখা জিনস প্যান্ট, পিস্তলের বাট, ইয়াবার সরঞ্জাম জব্দের কথা জানায় র‌্যাব। জব্দকৃত রক্তমাখা জিনস প্যান্টটি নিখোঁজ তরুণ আশিকুল ইসলামের বলে দাবি করেছিলেন রফিউর রাব্বি।

তার চাচাতো বোনের ছেলে আশিক ২০১১ সালের ১১ মে সন্ধ্যায় নিখোঁজ হন। এর দুদিন পর শীতলক্ষ্যা থেকে আশিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আশিকের মৃত্যুর পেছনেও ওসমান পরিবারের লোকজনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছিল।

আশিক হত্যার ২ বছরের মাথায় ত্বকীকে হত্যা করা হয়। ত্বকী হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ইউসুফ হোসেন লিটন ও সুলতান শওকত ভ্রমর ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তারা এই হত্যাকাণ্ডে নিজেদের জড়িত থাকার পাশাপাশি আজমেরী ওসমানসহ অন্যদের নামও প্রকাশ করেন।

নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক ও নাগরিক আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক শিল্পী রফিউর রাব্বির বড় ছেলে ছিলেন ত্বকী। বাবা রফিউর রাব্বিকে শায়েস্তা করতেই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে ২০১৪ সালের ৫ মার্চ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল র‌্যাবের তৎকালীন অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান।

ত্বকী হত্যার ১ দশক
এই ঘরটি ব্যবহার করতো তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দেয়ালে তার ছবি। পাশের চেয়ার-টেবিলে পড়তো সে। ছেলের স্মৃতি হিসেবে ঘরটিকে আগের মতো করেই রাখা হয়েছে। ছবি: সৌরভ হোসেন সিয়াম/স্টার

শহরে 'হাজী সাহেব' নামে পরিচিত এবং যার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শহরজুড়ে বিস্তৃত সেই আজমেরী ওসমানের পরিকল্পনা, নির্দেশ ও সক্রিয় অংশগ্রহণে ত্বকীকে অপহরণের পর নির্যাতনে হত্যা করা হয় বলেও জানিয়েছিল র‌্যাব।

অভিযুক্ত আজমেরী ওসমানের পিতা প্রয়াত এ কে এম নাসিম ওসমান জাতীয় পার্টি থেকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ৪ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তার দুই চাচা এ কে এম শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং এ কে এম সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও বিকেএমইএর সভাপতি।

সংবাদ সম্মেলনে একটি 'খসড়া অভিযোগপত্র' সরবরাহ করেছিল তদন্তকারী সংস্থাটি। সেখানে হত্যার কারণ ও জড়িতদের বিষয় বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছিল।

হত্যার কারণ হিসেবে র‌্যাব জানিয়েছিল, ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। সে সময় আইভীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন রফিউর রাব্বি। নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরে যান শামীম ওসমান।

এছাড়া ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী বিভিন্ন পরিবহনের মালিকরা ওসমান পরিবারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন। রফিউর রাব্বি এই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। স্থানীয় ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আন্দোলনেও সোচ্চার ছিলেন রফিউর রাব্বি। এসব কারণেই ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে শায়েস্তা করতে ছেলেকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়।

ত্বকী হত্যাকাণ্ডের প্রথম বছরে র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তা গণমাধ্যমে এসব তথ্য তুলে ধরেছিলেন, যা সে সময় সব গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়।

ওই সময় র‌্যাব আরও জানিয়েছিল, আজমেরী ওসমানের নির্দেশে এবং প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সহযোগীদের নিয়ে ত্বকীকে হত্যা করা হয়। পরে লাশ ফেলা হয় শীতলক্ষ্যা নদীর শাখা খালে। অচিরেই এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্র দাখিল করার কথা জানিয়েছিল সংস্থাটি।

এদিকে গ্রেপ্তার আসামিরাও জামিনে বেরিয়ে আসার পর এখন পলাতক। সর্বশেষ এই মামলায় কারাগারে থাকা সুলতান শওকত ভ্রমরও জামিন পেয়েছেন। গত বছর মার্চে ত্বকী হত্যাকাণ্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় নারায়ণগঞ্জের একটি পত্রিকা অফিসে হামলাও চালায় আজমেরী ওসমানের অনুসারীরা।

এক দশকে এই মামলায় ৬০ বার তারিখ ধার্য হয়েছে। আদালত তাগিদ দিলেও কোনো তারিখেই র‌্যাব অভিযোগপত্র জমা দেয়নি বলে জানান ত্বকী হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী প্রদীপ ঘোষ।

দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব দেশের সব গণমাধ্যমকর্মীদের ডেকে সংবাদ সম্মেলন করে কে, কেন, কীভাবে ত্বকীকে হত্যা করেছে বিস্তারিত জানিয়েছে। এই মামলায় গ্রেপ্তার সুলতান শওকত ভ্রমর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আজমেরী ওসমানসহ একাধিক ব্যক্তির এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা বলেছে। এই হত্যা মামলার সবকিছুই স্পষ্ট।'

'এই মামলার ৬০ বার ধার্য তারিখ গেছে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, '৬১তম তারিখ পড়ছে আগামী ১৪ মার্চ। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে আসা আসামিদের গ্রেপ্তারসহ অভিযোগপত্র দ্রুত দাখিলের বিষয়ে আদালতে আমাদের বক্তব্য একাধিকবার পেশ করেছি। আদালত অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য তাগিদও দিয়েছেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি।'

'হত্যার কারণ স্পষ্ট ও আসামিরা চিহ্নিত' হওয়ার পরও অভিযোগপত্র দাখিল না করায় বাদীপক্ষ বিচার পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন এই আইনজীবী।

তিনি বলেন, 'আইন অনুযায়ী তদন্তকারী সংস্থা ৬ মাসে নাকি ৬ বছরে অভিযোগপত্র দেবেন তার কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। ফলে এই সুযোগটা র‌্যাব নিয়েছে। তারা অভিযোগপত্র দিচ্ছে না, আবার কবে নাগাদ দেবে তাও জানায় না। রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্তা-ব্যক্তিরা এগিয়ে না এলে বিচার পাওয়ার যে সাংবিধানিক অধিকার তা থেকে বঞ্চিত হতে হবে।'

শুরুতে এই মামলা নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা তদন্ত করলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাব-১১। এক দশক পার হলেও র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশার দাবি, মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। তদন্ত শেষ করতে আরও সময় লাগবে।

তবে সেই সময় কতদিন বা কত মাস সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি তিনি।

যোগাযোগ করা হলে দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'তদন্ত কাজ চলমান। তদন্ত শেষ করতে আমাদের আরও সময় লাগবে। মামলাটি একটু জটিল। তাছাড়া বেশ কয়েকবার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদলির কারণে পরিবর্তন হয়েছে। কবে নাগাদ শেষ হবে তা বলতে পারছি না।'

হত্যাকাণ্ডের এক বছরের মাথায় সংবাদ সম্মেলনে দ্রুত অভিযোগপত্র দেওয়ার আশ্বাস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, 'ওই সময় কে কী বলেছে তা আমি ঠিক বলতে পারব না। কারণ ওই সময় আমি ছিলাম না।'

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'অঘোষিত ইনডেমনিটি'র কারণে এই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ নিহত ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বির।

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই হত্যাকাণ্ডের কোনো কিছুই কারও অজানা নয়। আমরা বারবার বলে আসছি, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমানসহ তাদের সহযোগীরা সরাসরি যুক্ত। র‌্যাব এক বছরের মাথায় সংবাদ সম্মেলন করে সবই জানালো। তারপর সংসদে দাঁড়িয়ে ওসমান পরিবারের পাশে থাকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের পর থেকেই সবকিছু বন্ধ। প্রধানমন্ত্রী অঘোষিত ইনডেমনিটির কারণে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল হচ্ছে না।'

দীর্ঘসূত্রিতা থাকলেও এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে এবং দোষীরা শাস্তি পাবে বলে আশাবাদী সন্তানহারা এই পিতা। তিনি বলেন, 'ত্বকী হত্যার বিচার হবেই। এই সরকার থাকতে হোক কিংবা পরেই হোক। এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে।'

ত্বকী হত্যার কয়েকদিন পর ২০১৩ সালের ১৭ মার্চ বিচারের দাবিতে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ গঠন করা হয়। সারাদেশে এবং দেশের বাইরেও এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের জোরালো দাবি ওঠে। নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে প্রতিমাসে শহরে আলোকশিখা প্রজ্বলন কর্মসূচি পালিত হয়। গত মাসে ১১৯তম কর্মসূচি পালিত হয়েছে। প্রতিবারই বক্তারা ত্বকী হত্যার বিচার দাবি করে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান।

ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার দশক পূর্তিতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় ২১ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ।

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

3h ago