এস কে সিনহা ও তার ভাইয়ের ৩ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও বাড়ি জব্দের নির্দেশ
অর্থপাচার মামলায় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার ৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও ৩তলা বাড়ি জব্দ করার উদ্যোগ নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
এ বিষয়ে দুদকের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. গুলশান আনোয়ার প্রধানের গত ২০ ফেব্রুয়ারি করা আবেদন পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক (প্রসিকিউশন) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, আজ এ আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে।
অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে নিউ জার্সির প্যাটারসনের ভ্যালি ন্যাশনাল ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট এবং বাড়িটি প্যাটারসনের জ্যাসপার স্ট্রিটের।
এর আগে গত বছরের ৩১ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর আওতায় ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করে দুদক।
দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ১২ জুন সিনহা তার ভাইয়ের নামে ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার বা প্রায় আড়াই কোটি টাকায় বাড়িটি কিনেছিলেন। এর ঠিকানা হলো ১৭৯, জ্যাসপার স্ট্রিট, প্যাটারসন, এনজে ০৭৫২২।
বিবৃতিতে বলা হয়, এসকে সিনহার ছোট ভাই অনন্ত কুমার সিনহা আমেরিকায় ডেন্টিস্ট হিসেবে কর্মরত। আমেরিকার একটি ব্যাংক থেকে ৩০ বছরের জন্য ১ লাখ ৮ হাজার ৭৫০ ডলার ঋণ নিয়ে তিনি ১ লাখ ৪৫ হাজার ডলারে বাড়িটি কিনেছিলেন।
২০১৮ সালের ১২ জুন তিনি নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার দিয়ে আরেকটি বাড়ি কেনেন। ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল থেকে ২০ জুন পর্যন্ত নিউ জার্সির প্যাটারসনের ভ্যালি ন্যাশনাল ব্যাংকে অনন্ত কুমার সিনহার অ্যাকাউন্টে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৮ ডলার জমা হয়েছিল।
এ ছাড়া ওই বছরের ৫ মার্চ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস থেকে একই অ্যাকাউন্টে ৬০ হাজার ১০ ডলার জমা হয়।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অনন্ত কুমার সিনহা ওই সময় তার বড় ভাই সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে ভ্যালি ন্যাশনাল ব্যাংকে গিয়েছিলেন। এরপর তিনি (এসকে সিনহা) ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানান যে তিনি আমেরিকার প্যাটারসন এলাকায় একটি বাড়ি কেনার জন্য এক বন্ধুর কাছ থেকে তহবিল পেয়েছেন। আসলে সুরেন্দ্র কুমার সিনহা যখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন, তখন তিনি বিভিন্ন অবৈধ অর্থ যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেন এবং তা তার ছোট ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেন।
এর আগে ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর এসকে সিনহাকে ৪ কোটি টাকা অর্থপাচারের একটি মামলায় ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
Comments