অর্থ পাচার মামলায় এসকে সিনহাসহ ১১ জনের বিচার শুরু

sk sinha
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। ছবি: সংগৃহীত

২০১৬ সালে ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) এর প্রায় চার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ পাচার মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলার বিচার শুরু করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ শোনার পর ১৮ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন।

মামলায় সিনহা ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন—ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি একেএম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক।

এছাড়াও টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়কেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এর মধ্যে একেএম শামীম ও গাজী সালাহউদ্দিন এখন জামিনে এবং মাহবুবুল হক চিশতী কারাগারে আছেন। অপর আট জনকে অভিযোগপত্রে পলাতক দেখানো হয়।

আজ অভিযোগ শোনার পর শামীম, সালাহউদ্দিন ও চিশতী আদালতের কাছে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন এবং এ ঘটনার ন্যায়বিচার দাবি করেন।

এর আগে, গত ৫ জানুয়ারি ঢাকার আরেকটি আদালত অভিযোগ গ্রহণ করেন এবং আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর, শামীম ও সালাহউদিন আদালত থেকে জামিন নেন এবং চিশতী ২০১৮ সালের জুলাইয়ে দায়ের করা আরও একটি মামলায় কারাগারে থাকায় তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গত বছরের ১০ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ১১ জনকে অভিযুক্ত করে এ মামলা করে।

২০১৮ সালের অক্টোবরে দুদক জানায়, ব্যবসায়ী শাহজাহান ও নিরঞ্জন জাল দলিল দিয়ে ২০১৬ সালে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। পরে সেই টাকা বিচারপতি সিনহার অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়।

পরে, গত বছর ১০ জুলাই দুদক এ অভিযোগে এসকে সিনহা এবং আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করে।

২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর বিচারপতি সিনহা বিদেশ থাকাকালীন প্রধান বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।

Comments

The Daily Star  | English
fire at Secretariat

Secretariat fire sabotage or accident still not known: Fire service DG

Muhammad Jahed Kamal, director general of the Fire Service and Civil Defence, today said the cause of the devastating fire at Building No. 7 of the Bangladesh Secretariat still remains unknown

56m ago