৪ দিন ধরে নিখোঁজ যুবক, ‘ডিবি পরিচয়ে’ তুলে নেওয়ার অভিযোগ

রোকনুজ্জামান রকসি। ছবি: সংগৃহীত

৪ দিন ধরে নিখোঁজ রাজধানীর রামপুরা এলাকার বাসিন্দা রোকনুজ্জামান রকসি (৩৭)। তাকে গত সোমবার পূর্ব হাজীপাড়া এলাকা থেকে 'ডিবি পুলিশ' পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

নিখোঁজ রকসি শাহজাদপুর এলাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বলে জানা গেছে।

তার খোঁজে বাবা লিয়াকত আলী বাড্ডা থানায় একটি জিডি করেন মঙ্গলবার।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সোমবার সন্ধ্যায় রকসি অফিস থেকে বের হয়। সোয়া ৮টার দিকে তার স্ত্রীর সঙ্গে তার ফোনে কথা হয়েছিল। তখন সে বাসায় আসছিল। পরে রাত ১০টা পর্যন্ত বাসায় না আসায় তাকে আবার কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।'

'পরদিন বাড্ডা থানায় জিডি করার পর পুলিশ তদন্ত করে জানায়, রকসির ফোনের সর্বশেষ অবস্থান ছিল রামপুরা এলাকায়,' বলেন তিনি।

লিয়াকত আলী আরও বলেন, 'পুলিশ বলেছে যে তারা তদন্তে নেমে জেনেছে যে সেদিন রাত ৯টার দিকে পূর্ব হাজীপাড়া এলাকায় ৫ জন লোক একটা ছেলেকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এলাকার লোকজন পুলিশকে বলেছে, তুলে নেওয়ার সময় তারা নিজেদের "ডিবি পুলিশ" বলে পরিচয় দেয়।'

তিনি জানান, পরে তিনি বুধবার ও আজ শুক্রবার ডিবি কার্যালয়ে যান। কিন্তু সেখানে রকসিকে নেওয়া হয়নি বলে ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়।

জানতে চাইলে রকসির নিখোঁজের বিষয়ে বাড্ডা থানায় করা জিডির তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল হক আব্বাসী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তদন্তের সময় জানতে পারি যে পূর্ব হাজীপাড়া থেকে তিনি নিখোঁজ হয়েছেন। এলাকার লোকজন বলেছে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে আমরা এ ঘটনার তদন্তভার রামপুরা থানার কাছে হস্তান্তর করি।'

যোগাযোগ করা হলে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই যুবকের নিখোঁজের বিষয়ে জিডি হয়েছে বাড্ডা থানায়। তার বাবা আমাদের এখানে এসেছিলেন।'

'এলাকার লোকজনের কাছে শুনেছি যে ওই যুবককে সোমবার রাতে পূর্ব হাজীপাড়া থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা এখনো তার কোনো খোঁজ পাইনি,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

7h ago