জাতিসংঘে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত বাংলাদেশ

দ্বিতীয় বছরে পদার্পনের কয়েক ঘণ্টা আগে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) নতুন একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে, যাতে ভোটদানে বিরত থেকেছে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ১১তম বিশেষ অধিবেশনে। ছবি: রয়টার্স

দ্বিতীয় বছরে পদার্পনের কয়েক ঘণ্টা আগে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) নতুন একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে, যাতে ভোটদানে বিরত থেকেছে বাংলাদেশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার সাধারণ পরিষদের ১১তম জরুরি বিশেষ অধিবেশনে জাতিসংঘ সনদের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে যুদ্ধ বন্ধের পাশাপাশি ইউক্রেন থেকে অবিলম্বে রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে এই প্রস্তাব রাখা হয়। এর পক্ষে ভোট দেয় ১৪১টি সদস্য রাষ্ট্র।

এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে রাশিয়াসহ ৭টি দেশ। এ তালিকায় থাকা অন্য দেশগুলো হলো- বেলারুশ, ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া, ইরিত্রিয়া, মালি, নিকারাগুয়া ও সিরিয়া।

বাংলাদেশের পাশাপাশি ভোটদানে বিরত থেকে নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়া দেশের সংখ্যা ৩২টি। এগুলো হলো- চীন, ভারত, ইরান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, কিউবা, কঙ্গো, আর্মেনিয়া ও ভিয়েতনাম। এছাড়া সাবেক সোভিয়েত রাশিয়াভূক্ত কিরগিজিস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানও এ প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ অবস্থান প্রকাশ করেছে।

প্রস্তাবে খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি, অর্থ, পরিবেশ এবং পারমাণবিক নিরাপত্তার ওপর যুদ্ধের বৈশ্বিক প্রভাব মোকাবিলায় 'সংহতির চেতনায়' সহযোগিতা করার জন্য সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

রাশিয়াকে 'শত্রুতা' বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাবে বলা হয়, 'অবিলম্বে, সম্পূর্ণ এবং নিঃশর্তভাবে ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে রাশিয়া তার সব সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করবে।'

সাধারণ পরিষদের এ ধরনের কোনো প্রস্তাব মানতে কোনো দেশ আইনত বাধ্য নয়। তবে এর রাজনৈতিক গুরুত্ব আছে।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত রাশিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ মোট ৪টি প্রস্তাব এনেছে। এগুলোর মধ্যে ১টিতে পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। বাকিগুলোর ক্ষেত্রে ভোটদানে বিরত থেকেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Protests disrupt city life, again

Protests blocking major thoroughfares in Karwan Bazar and Shahbagh left the capital largely paralysed

1h ago