সৌদি আরবে বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
সৌদি আরবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও সৌদি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
একুশে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানী রিয়াদে দূতাবাসের হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের ১০ জন রাষ্ট্রদূতসহ ৪০ জন কূটনীতিক যোগ দেন।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সৌদি আরবের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক জাতীয় কমিশনের মহাসচিব আহমেদ আলবিলাদ, ওআইসির সাংস্কৃতিক, সামাজিক বিষয়ক পরিচালক লাউচিন রাজুই ।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কূটনৈতিক কোরের ডিন জিবুতির রাষ্ট্রদূত দায়া আদদীন বামাখরামা, ভারতের রাষ্ট্রদূত ড. সুহেল এজাজ খান, নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত ইয়াহিয়া লাওয়াল, স্পেনের চার্জ দ্যা এফেয়ার্স রিকার্ডো মর সোলা।
বক্তারা, একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতিতে অবদান রাখায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর নিজ নিজ ভাষায় শিক্ষা গ্রহণ ও নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার কথা তুলে ধরেন।
ভাষার বৈচিত্র্য যেকোনো দেশের জন্য গর্বের বিষয় বলে উল্লেখ করে তারা নিজ নিজ ভাষার চর্চা বৃদ্ধির মাধ্যমে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরা ও বৈচিত্র্য বজায় রাখার আহ্বান জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ভাষা আন্দোলনের কথা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা তুলে ধরে বলেন, বাঙালি জাতি মাতৃভাষার অধিকার রক্ষায় জীবন দিয়েছিল যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
তিনি বলেন, মাতৃভাষা রক্ষার দাবীতে পৃথিবীর ইতিহাসে দিবসটি সংগ্রাম ও ভাষার অধিকার আদায়ের এক উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে মাতৃভাষা বাংলা রক্ষা করার বিষয়ে বাঙালি জাতির অবদানের কথা বিদেশীদের কাছে তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, দ্রুতই পৃথিবী থেকে বিভিন্ন ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে, হারিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। মাতৃভাষা রক্ষায় তিনি পৃথিবীর সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়ের (ইংরেজি শাখা ও বাংলা শাখা) শিক্ষার্থীরা নাচ ও গান পরিবেশন করেন।
এ ছাড়া ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তথ্যচিত্র ও ১২টি ভাষায় একুশে ফেব্রুয়ারির গান পরিবেশন করা হয়।
লেখক: সৌদিপ্রবাসী সাংবাদিক
Comments