পালাবদলের সাক্ষী হতে এসেছেন হাথুরুসিংহে!

chandika hathurusingha

২০১৭ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার সময় চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেছিলেন, এখানে আর কিছু দেওয়ার নেই তার। সাড়ে পাঁচ বছর পর বদলে গেল প্রেক্ষাপট। এখন অনেক কিছু দেওয়ার খোরাক পাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রভাবশালী এই কোচের ভাবনা বদলেছে মূলত পালাবদলের বাস্তবতা সামনে থাকায়।

আগের মেয়াদে দায়িত্বে থাকাকালীনই পালাবদলের একটা সুর তুলেছিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি দলটাকে তখনই দিতে চেয়েছিলেন নতুন আদল। নানান বিতর্কে তখন সব কিছু বাস্তবায়ন করতে পারেননি, নিজেই সরে গিয়েছিলেন সব কিছু অনেকটা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে।

সেবার যখন চাকরি ছেড়ে চলে যান, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, 'হাথুরুসিংহে মনে করছে এখানে তার আর দেওয়ার কিছু নেই।' দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর বুধবার সংবাদ সম্মেলনে হাজির হওয়া এই কোচকে মনে করিয়ে দেওয়া হলো সেই প্রসঙ্গ।

যেখানে কিছু দেওয়ার নেই, সেখানে ফিরতে প্রেরণা পেলেন কীভাবে? উত্তরে কিছুটা কূটনৈতিক স্বরে এক প্রজন্মের বিদায় এবং আরেক প্রজন্মের নাটাই হাতে নেওয়ার দিকে ইঙ্গিত করলেন তিনি,  'আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গি বলব। আমার মনে হয় আমরা পালাবদলের মধ্য দিয়ে আছি আগামী দুই, তিন বছরে (পালাবদল হবে)। অনেক সিনিয়র খেলোয়াড় খুব ভালো করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। দারুণ প্রজন্ম হিসেবে তারা স্মরণীয় হবে। অন্য দিকে দেখবে হবে অসাধারণ কিছু তরুণ খেলোয়াড় উঠে এসেছে। এমন অবস্থায় চ্যালেঞ্জটা নিয়ে ফিরতে আমি প্রেরণা পেয়েছি।'

২০১৪-২০১৭ সালে তার আগের মেয়াদে দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন মাশরাফি মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই পাঁচজনের আলাদা হয়ে তকমা লাগানো তখন থেকেই শুরু। হাথুরুসিংহে অবশ্য সেই আলাদা করা তকমায় লাগাম টানতে চেয়েছিলেন। তার চাপেই টি-টোয়েন্টি থেকে সরে যান মাশরাফি। মুশফিককে তখনই কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাদ দিতে চেয়েছিলেন।

বর্তমানে মাশরাফি জাতীয় দলে নেই তিন বছর ধরে। তামিম ও মুশফিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন, এই সংস্করণে আর সুযোগ পান না মাহমুদউল্লাহও। তার টেস্টের বিদায়ও হয়ে গেছে, যেটা হাথুরুসিংহে করতে চেয়েছিলেন বেশ আগে। এখন সব সংস্করণে খেলেন কেবল সাকিব।

চলতি বছর আছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। একদিনের ক্রিকেটে আবার চার সিনিয়রই দলে আছেন। তবে তারা প্রত্যেকেই ভারতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে থাকবেন কিনা এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই। পালাবদলের পরের ধাপ বিশ্বকাপের আগে নাকি পরে তা হয়ত এখনি খোলাসা করবেন না লঙ্কান কোচ। আপাতত নিবেন পর্যবেক্ষকের ভূমিকা।

Comments

The Daily Star  | English

Reforms, justice must come before election: Nahid

He also said, "This generation promises a new democratic constitution for Bangladesh."

7h ago