চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইউক্রেন সংঘাতের মাত্রা বেড়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং। ফাইল ছবি: রয়টার্স
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং। ফাইল ছবি: রয়টার্স

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বেইজিং ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে 'গভীরভাবে উদ্বিগ্ন'। এই যুদ্ধের 'মাত্রা আরও বাড়ছে এবং এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে'।

আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংয়ের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই চীন নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকার চেষ্টা করেছে। তবে কৌশলগত মিত্র রাশিয়ার সঙ্গেও দেশটি তাদের ভাল সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ১ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। এ সময় বেইজিং 'রাজনৈতিক সমাধান' খুঁজে বের করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব প্রকাশের অঙ্গীকার করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে, দেশটি রাশিয়াকে অস্ত্র পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে। তবে চীন এই দাবি অস্বীকার করেছে।

রাশিয়ার পুতিন ও চীনের শি জিনপিং--দুই কাছের মিত্র। ছবি: রয়টার্স
রাশিয়ার পুতিন ও চীনের শি জিনপিং--দুই কাছের মিত্র। ছবি: রয়টার্স

বেইজিংয়ে বৈশ্বিক নিরাপত্তার ওপর আয়োজিত এক সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং বলেন, 'ইউক্রেন সংকটের প্রায় ১ বছর হতে চললো, যার মাঝে এর প্রভাব গোটা বিশ্বের ওপর পড়েছে'। 

'চীন খুবই উদ্বিগ্ন, কারণ এই সংঘাতের মাত্রা বাড়ছে এবং এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে', যোগ করেন তিনি।

তিনি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব 'আগুনে আরও তেল না ঢালার' পরামর্শ দেন এবং চীনের ওপর দোষ না চাপানোর অনুরোধ জানান।

তিনি আরও বলেন, বেইজিং 'চীনা প্রজ্ঞার কার্যকর প্রয়োগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করে আলোচনা ও পরামর্শের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবার উদ্বেগের অবসান ও সবার জন্য সমভাবে প্রযোজ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে' ইউক্রেন সংকটের রাজনৈতিক সমাধানে অবদান রাখতে আগ্রহী।

চীনের শীর্ষ কূটনীতিবিদ ওয়াং ই মিউনিখের নিরাপত্তা সম্মেলনে ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে শনিবার জানান, বেইজিং

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা ও বায়োকেমিক্যাল অস্ত্রের ব্যবহারের বিরোধী এবং দেশটি সংঘাতের অবসানে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।

ইউরোপ সফরের শেষভাগে ওয়াং মস্কো যাবেন। এর আগে তিনি ফ্রান্স, ইতালি, হাঙ্গেরি ও জার্মানিতেও গেছেন।

সোমবার ক্রেমলিন জানায়, ওয়াং ই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Made with US cotton? Pay less at US customs

Bangladesh is likely to benefit from reduced US tariffs on garment exports under a new clause that incentivises the use of American materials, potentially enhancing the country’s competitiveness in the US market.

58m ago