তদন্ত কমিটির কাছে বক্তব্য দিতে অভিযুক্ত ২ ছাত্রলীগ নেত্রী ইবি ক্যাম্পাসে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে এক ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ২ ছাত্রলীগ নেত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২টি তদন্ত কমিটির সামনে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ক্যাম্পাসে আনা হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী ও তাবাসসুম ইসলাম প্রধান ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকেন। সেখান থেকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক রেবা মণ্ডলের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়।

এই মুহূর্তে সেখানে তারা তাদের বক্তব্য পেশ করছেন। এরপর তারা হল প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির সামনে তাদের বক্তব্য জানাবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেন আজাদ জানান, অভিযুক্ত ২ ছাত্রলীগ নেত্রীকে নিয়ে আসার পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২টি তদন্ত কমিটির পাশাপাশি হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে গত রোববার রাতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন একটি ৩ সদস্যের জুডিশিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ সাইদুল ইসলাম জানান, কমিটি গঠন করে হাইকোর্টকে অবহিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে কমিটির সদস্যদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কমিটিতে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, একজন নিবার্হী ম্যাজিস্টেট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী অধ্যাপক আছেন।

নির্যাতনের অভিযোগ আনা ওই ছাত্রী গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথমবর্ষের ক্লাস শুরুর দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের এক আবাসিক ছাত্রীর রুমে ওঠেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই রাতেই ছাত্রলীগকর্মী তাবাসসুম ডাইনিং রুমে নতুন শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চান, কারা দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে থাকেন। ওই ছাত্রী হাত তুললে তাবাসসুম ক্ষুব্ধ হন।

কেন তাবাসসুমকে এই তথ্য আগে জানানো হয়নি সেই প্রশ্ন করেন এবং হলের প্রজাপতি-২ রুমে (সানজিদার রুম) দেখা করতে বলেন। কিন্তু ওই ছাত্রী সানজিদার সঙ্গে দেখা করতে যাননি।

পরে ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে ওই ছাত্রীকে হলের গণরুমে (দোয়েল) ডেকে নেন সানজিদা। সেখানে সানজিদা, তাবাসসুমসহ কয়েকজন তাকে রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নির্যাতন করেন।

ওই ছাত্রী অভিযোগ, তাকে অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়া হয়েছে। কিল, ঘুষি, থাপ্পড়ও দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এক পর্যায়ে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করা হয়। সে সময় তিনি লক্ষ করেন তার পোশাক সুশৃঙ্খল ছিল না। নির্যাতনের বিষয়ে মুখ খুললে হল থেকে বের করে দেওয়া এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও তাকে হুমকি দেওয়া হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

7h ago