ভালোবাসা দিবসে মায়ের পা ধুয়ে সম্মান জানাল শিশুরা

মা, ভালোবাসা দিবস, ভ্যালেন্টাইন ডে,
মায়ের পা ধুয়ে দিচ্ছেন এক শিশুশিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত

মাকে ঘিরেই যেন আমাদের সব আবেগ ও ভালোবাসা। আবার মায়ের কাছেই সব আকুলতা। সন্তানের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ জায়গাও মায়ের কোল। এজন্য হয়তো পল্লীকবি জসীম উদ্দীন লিখেছিলেন, 'রাত থম থম স্তব্ধ, ঘোর-ঘোর-আন্ধার/ নিশ্বাস ফেলি, তাও শোনা যায়, নাই কোথা সাড়া কার/ রুগ্ন ছেলের শিয়রে বসিয়া একেলা জাগিছে মাতা, করুণ চাহনি ঘুম ঘুম যেন ঢুলিছে চোখের পাতা/ শিয়রের কাছে নিবু নিবু দীপ ঘুরিয়া ঘুরিয়া জ্বলে/ তারি সাথে সাথে বিরহী মায়ের একেলা পরাণ দোলে…'

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। আর ভালোবাসার দিনে মায়ের পা ধুয়ে সম্মান জানিয়েছে টাঙ্গাইলের দেড় শতাধিক শিশুশিক্ষার্থী। তারা ভালোবাসার স্লোগান লেখা মেডেল পরিয়ে দেয় মায়ের গলায়। সন্তানদের এমন ভালোবাসায় আপ্লুত হয়ে পড়েন মায়ের।

টাঙ্গাইলের হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি শহরের এসপি পার্কে এই ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এসময় লায়লা খাতুন নামের এক মা বলেন, 'বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সন্তানের কাছ থেকে এমনভাবে ভালোবাসা পাব তা কখনো ভাবিনি। এটা সত্যিই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ থেকে সন্তানরা মায়েদের আরও সম্মান করা শিখবে এবং যত্নশীল হবে।'

হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুলের চেয়ারম্যান নওশাদ রানা সানভী বলেন, 'বিশেষ এই দিনে শিশুদের মনে বাবা-মায়ের প্রতি আরও ভালোবাসা ও তাদের প্রতি যত্নশীল হতে আমরা এ আয়োজন করেছি।'

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, 'এটি একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন। শিশুরা তাদের মায়ের পা ধুয়ে সম্মান দেখিয়েছে। আমি এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

11h ago