ধামরাইয়ে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা নেয়নি পুলিশ

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দৈনিক যুগান্তরের ধামরাই প্রতিনিধি শামীম খান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহের সময় ঢাকার ধামরাইয়ে দৈনিক যুগান্তরের ধামরাই প্রতিনিধি শামীম খানের ওপর হামলার ঘটনায় ৩২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ।   

সাংবাদিক শামীম খানের ছেলে ইমরান হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে আজ রোববার সন্ধ্যায় এ কথা জানান।

গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের হাতকোড়া এলাকায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হাওলার শিকার হন শামীম খান।

তার ছেলে ইমরান হোসেন বলেন, 'স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাদের মোল্লা, তার ভাতিজা ও অনুসারীরা আমার বাবার ওপর হামলা চালায়।'

'ঘটনার পর পুলিশ বাবাকে উদ্ধার করে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  পাঠালেও এ ঘটনায় তারা মামলা নিচ্ছে না,' যোগ করেন তিনি।

ইমরান অভিযোগ করে বলেন, 'ধামরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান আমাদের অভিযোগ কিংবা মামলা আমলে না নিয়ে উল্টো ঘটনাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন। গতকাল রাত ও আজ সারাদিন থানায় অপেক্ষা করেও কোনো কাজ হয়নি।'

তিনি বলেন, 'শনিবার রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেই। কিন্তু ওসি আতিকুর রহমান নিলেও, আমাকে কোনো রিসিভ কপি দেননি। তিনি বলেছিলেন যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানাব। এরপর থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।'

মামলার না নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে গতকাল শনিবার ও আজ রোববার বেশ কয়েকবার ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামানকে ফোন করা হলেও, তারা রিসিভ করেননি। মেসেজ পাঠালেও তার উত্তর পাওয়া যায়নি।

এছাড়া রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ধামরাই থানায় গিয়ে ওসি আতিকুর রহমানসহ সিনিয়র কোনো কর্মকর্তার দেখা পাওয়া যায়নি।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ওই ঘটনার বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। অভিযোগ বা মামলার বিষয়ে জানতে হলে ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলতে হবে।'
 

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

1d ago