১০০ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল হয়েছে, আরও শতাধিক চিহ্নিত: তথ্যমন্ত্রী

হাছান মাহমুদ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, সংবাদপত্র শিল্পকে বাঁচাতে ১০০ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়েছে। আরও শতাধিক পত্রিকা চিহ্নিত করা হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

এর আগে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের (বিএসপি) সঙ্গে তথ্যমন্ত্রী মতবিনিময় করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএসপির সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু ও সেক্রেটারি এম জি কিবরিয়া চৌধুরীসহ অনেকে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের সরকার গণমাধ্যমবান্ধব সরকার। সেই কারণে বাংলাদেশে গত ১৪ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। ৪৫০ দৈনিক পত্রিকা ছিল, সেখানে থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ২৬০টি দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা। অনলাইন গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। টেলিভিশনের সংখ্যা ১০টি থেকে ৩৬টি এখন অন এয়ারে আছে। এফএম রেডিও লাইসেন্স প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে পেয়েছে।'

'এ রকম বিকাশ আশে পাশের দেশে হয়নি বা পাশ্চাত্যে এত বেশি সংবাদমাধ্যম হয়নি,' বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এত বেশি পত্রিকা হওয়ার কারণে অনেক পত্রিকায় দেখা যায়, যিনি সম্পাদক উনিই প্রকাশক, উনি বিজ্ঞাপন কালেক্টর, উনিই হকার—এ রকমও আছে। আমরা সেসব পত্রিকা চিহ্নিত করার কাজ করছি। ইতোমধ্যে ১০০ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়েছে। যেসব পত্রিকা বের হয় না, হঠাৎ কোনো একদিন বের হয়; যেদিন বিজ্ঞাপন পায় সেদিন ছাপায়, অন্য দিন ছাপায় না। এতে যারা নিয়মিত পত্রিকা বের করেন তারা বঞ্চিত হন। সার্বিকভাবে সংবাদপত্র শিল্পের ক্ষতি হচ্ছে। এ রকম আরও শতাধিক পত্রিকা আমরা চিহ্নিত করেছি, সেগুলোর ব্যাপারে কাজ চলছে।'

বিএসপির দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বিজ্ঞাপনের বিল সবারই বাকি। আমরা বিজ্ঞাপন দেই কিন্তু বিজ্ঞাপনের টাকা আসে অর্থ বিভাগ থেকে। আমরা অর্থ বিভাগকে বারবার তাগাদা দিলেও অনেক সময় বিল পাওয়া যায় না। অনেক পত্রিকার বাকি থাকলে অসুবিধা হয় না, বড় পত্রিকাগুলো। তাদের কোটি কোটি টাকা বাকি কিন্তু ছোট পত্রিকার বাকি থাকলে অসুবিধা হয়। আমরা চেষ্টা করব ছোট পত্রিকাগুলো বিল পরিশোধ করার।'

তিনি আরও বলেন, 'বিজ্ঞাপন ধীরে ধীরে কমে আসছে। পৃথিবীতে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এর ধাক্কা সব জায়গায় এসেছে। আমরা যেখানে আগে ৪০০ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতাম, এখন সেটা কমে ৫০-৬০টি পত্রিকায় এসে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে চাইলেও আমরা বিজ্ঞাপন দিতে পারি না।'

Comments

The Daily Star  | English

Muslin’s revival weaves past into present

On a golden summer morning in Rupganj, Narayanganj, the sound of handlooms echoes from tin-roofed sheds nestled amid winding village paths and open fields.

17h ago