বিএসজেএ অ্যাওয়ার্ড নাইটে পুরস্কৃত ৪৬ ক্রীড়াবিদ
২০১৩ থেকে ২০২২, বিগত দশ বছরে বাংলাদেশের খেলাধুলোয় অবদান রাখা ক্রীড়াবিদরা হলেন পুরস্কৃত, পেলেন সম্মাননা। পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস এসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) আয়োজনে মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে বসেছিল তারার মেলা। সেখানে পুরস্কৃত হন বিভিন্ন খেলার ৪৬ ক্রীড়াবিদ।
পুরস্কার উঠে সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাবিনা খাতুন, মামুনুল ইসলাম, তপু বর্মণ, রোমান সানা, দিয়া সিদ্দিকাদের হাতে।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকেই খেলোয়াড় খেলোয়াড়, কোচ, রেফারি, সংগঠক, পৃষ্ঠপোষক ও সাংবাদিকরা আসতে থাকেন অনুষ্ঠানস্থলে। আনন্দ আড্ডায় প্রাণবন্ত সময় পার করতে দেখা যায় তাদের।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী ক্রীড়াবিদদের হাতে পুরস্কার তলে দেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল
অনুষ্ঠানে ২০১৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পারফর্মেন্সের বিচারে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালে বিএসজেএ স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার নির্বাচন হন গলফার সিদ্দিকুর রহমান। প্রথম রানারআপ হয়েছেন ক্রিকেটার সোহাগ গাজী। দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন হকি খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমি। ওই বছর প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ডের জন্য নির্বাচিত হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২০১৪ সালে বিএসজেএ স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার নির্বাচন হন শ্যুটার আব্দুল্লাহেল বাকি। প্রথম রানারআপ হয়েছেন ফুটবলার মামুনুল ইসলাম। দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড জিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
২০১৫ সালে বিএসজেএ স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছেন ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম রানারআপ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দ্বিতীয় রানারআপ ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। বর্ষসেরা কোচের পুরষ্কার জেতেন ফুটবল কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানী। প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড উঠে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার হাতে।
২০১৬ সালে বিএসজেএ স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হন সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা। প্রথম রানারআপ ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। শ্যুটার শাকিল আহমেদ হন দ্বিতীয় রানারআপ। বর্ষসেরা কোচ হিসেবে পুরস্কার জেতেন ফুটবল কোচ গোলাম রব্বানি।
২০১৭ সালে বিএসজেএ স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম হন প্রথম রানারআপ। দ্বিতীয় রানারআপ হন ফুটবলার জাফর ইকবাল। বর্ষসেরা সংগঠক হিসেবে পুরস্কার জেতেন ফুটবল সংগঠক মাহফুজা আক্তার কিরন।
২০১৮ সালে বিএসজেএ স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হন ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। প্রথম রানারআপ হন শ্যুটার আব্দুল্লাহেল বাকি। দ্বিতীয় রানারআপ হন শ্যুটার শাকিল আহমেদ। বর্ষসেরা এসোসিয়েশন হিসেবে পুরস্কার জেতে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন। এছাড়া পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পুরস্কার জেতে সিটি গ্রুপ। প্রেসিডেন্ট`স অ্যাওয়ার্ড জেতে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
২০১৯ সালে বিএসজেএ স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হন আর্চার রোমান সানা। ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার হন প্রথম রানারআপ। দ্বিতীয় রানারআপ হন ফেন্সার ফাতেমা মুজিব। বর্ষসেরা পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পুরস্কার জেতে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড। প্রেসিডেন্ট`স অ্যাওয়ার্ড জেতেন ফুটবল রেফারি জয়া চাকমা।
করোনাকালীন সময়ে কিছু মানুষের সাহসী ভূমিকা বেশ আলোচিত হয়েছিলো। এমন ৩ ব্যাক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে বিএসজেএ। তারা হচ্ছেন তামিম ইকবাল, আরিফা জাহান বিথী, সংগঠক আব্দুল গাফফার, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এছাড়া বৈশ্বিক কোন টুর্নামেন্টে প্রথম শিরোপা জেতা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলকে প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
২০২১ সালে বিএসজেএ স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হন আর্চার দিয়া সিদ্দিকী। প্রথম রানারআপ হন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় রানারআপ হন ফুটবলার তপু বর্মণ। বর্ষসেরা কোচ হিসেবে পুরস্কার জেতেন আর্চারি কোচ মার্টিন ফ্রেডেরিক।
২০২২ সালে বিএসজেএ স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হন ক্রিকেটার লিটন দাস। ফুটবলার সাবিনা খাতুন হন প্রথম রানারআপ। দ্বিতীয় রানারআপ হন ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রেসিডেন্ট`স অ্যাওয়ার্ড জেতে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল, যারা দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত সাফের শিরোপা জিতেছিল।
২০১৫ সালের অবদানে প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড জেতা মাশরাফি বলেন, 'বিএসজেএকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে পুরস্কৃত করার জন্য। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের যারা এখানে আছেন প্রবীন, নবীন, তরুণ উদীয়মান যারা আছেন সবাইকে ধন্যবাদ। আমি আশা করছি তরুণদের হাত ধরে ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাবে। শুধু ক্রিকেট নয়, সব খেলার জন্য আমার শুভকামনা।'
২০১৭ সালে বিএসজেএ স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার পুরস্কার নিয়ে সাকিব বলেন, 'ধন্যবাদ সবাইকে। দোয়া করবেন আমরা সবাই যেন আরও বেশি বেশি পুরস্কার পাই।'
Comments