বাজারে এল দেশে তৈরি রানারের থ্রি হুইলার

Bajaj_Runner_3Wheeler_16Sep.jpg
প্রতীকী ছবি

দেশেই ভারতীয় ব্র্যান্ড বাজাজ অটো লিমিটেডের থ্রি-হুইলার তৈরির পর বাজারজাত শুরু করেছে রানার অটোমোবাইলস।

ইঞ্জিনের কিছু উপাদান বাদে চেসিস, বডি ওয়েল্ডিং এবং পেইন্টিং সহ কমপক্ষে ৭০ শতাংশ গাড়ি ভারতীয় গাড়ি নির্মাতা বাজাজ অটোর সাথে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

রানার-বাজাজ ব্র্যান্ডের এই গাড়ির উৎপাদনে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের হার কমপক্ষে ৭০ শতাংশ হবে বলে মনে করছে রানার।

আজ শনিবার ভালুকায় রানার অটোমোবাইলসের কারখানায় আজ শনিবার থ্রি-হুইলার প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

এর মাধ্যমে দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো দেশে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা তৈরির পরে তা বাজারে নিয়ে এল।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, 'দেশে উৎপাদন হলেও এখনো থ্রি-হুইলারটি তৈরিতে ২০ থেকে ৩০ শতাংশের মতো যন্ত্রাংশের জন্য বিদেশের ওপর নির্ভর করতে হবে। তবে আমরা এটা তৈরিতে সম্পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করতে চাই।'

তিনি বলেন, 'রপ্তানিমুখী শিল্পনীতি এবং অটোমোবাইল শিল্পের প্রসারে সরকার সব ধরনের সহায়তা দেবে।'

উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হলে শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে, তা না হলে দেশীয় কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, 'প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ একর জমিতে গড়ে ওঠা রানারের কারখানায় বছরে ৩০ হাজার থ্রি-হুইলার অটোরিকশা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। ইঞ্জিনের কিছু অংশ ছাড়াও ওয়েল্ডিং, ড্যামিস ও বডিসহ অধিকাংশ যন্ত্রাংশ স্থানীয়ভাবে তৈরি হবে। এই কাজের জন্য নতুন করে আরও ৩০০ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।'

এ কারখানায় ৪০০ বিদেশি শ্রমিক কাজ করেন বলেও জানান তিনি।

রানারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সুবীর চৌধুরী বলেন, 'রানার বাংলাদেশে মোটরসাইকেলশিল্পে প্রথম উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আজ থ্রি-হুইলার শিল্পে পা রাখলাম। আমাদের প্রত্যাশা, মোটরসাইকেলের মতো এই শিল্পেও আমরা সফলতা পাব।'

বাজাজ অটোর প্রেসিডেন্ট কে এস গৃহপতি বলেন, 'এটা শুধু বাংলাদেশের প্রথম কোন থ্রি-হুইলার কারখানা নয়, ভারতের বাইরে বাজাজ থ্রি-হুইলারেরও প্রথম কোনো কারখানা। আমরা রানারের সঙ্গে কাজ করতে পেরে উচ্ছ্বসিত। প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে।'

বাজাজ বাংলাদেশের অটোমোবাইল শিল্পের উন্নয়নে অবদান রাখবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

Comments