ভূমিকম্পের পর সিরিয়ার কারাগারে বিদ্রোহ, পালিয়েছে ২০ আইএস সদস্য

সিরিয়ার ইদলিবে ধসে পরা ভবনে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। ছবি: এএফপি
সিরিয়ার ইদলিবে ধসে পরা ভবনে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। ছবি: এএফপি

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর সিরিয়ার উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের এক কারাগার থেকে জঙ্গি দল আইএস এর বেশ কয়েকজন যোদ্ধা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, অন্তত ২০ জন কয়েদী কারাগার থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছেন।

রাজো শহরের সামরিক পুলিশ কারাগারটি তুরস্কের সীমান্তের কাছাকাছি জায়গায় অবস্থিত। জেলখানার এক সূত্র এএফপিকে জানান, মোট ২ হাজার কয়েদীর মধ্যে ১ হাজার ৩০০ সন্দেহভাজন ব্যক্তি জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএল বা আইএসআইএস (ইসলামিক স্টেট) এর যোদ্ধা।

এছাড়াও, কুর্দিদের নেতৃত্বাধীন জঙ্গি দলেরও কিছু সদস্য এই কারাগারে আটক ছিলেন।

নাম না প্রকাশের শর্তে রাজো কারাগারের কর্মকর্তা বলেন, 'রাজো শহরে ভূমিকম্প আঘাত হানার পর উদ্ভুত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কয়েদীরা বিদ্রোহ করে এবং কারাগারের কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। কারাগার থেকে প্রায় ২০ জন কয়েদী পালিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তারা সবাই জঙ্গি দল আইএস এর যোদ্ধা'।

ইতোমধ্যে তুরস্কের দক্ষিণপূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ৩৭২ জনে দাঁড়িয়েছে।

তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান ইউনুস সেজের দেশটির রাজধানী আঙ্কারায় সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আজ সকাল পর্যন্ত দেশটিতে ২ হাজার ৯২১ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ হাজার ৮৩৪ জন।

সিরিয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৪৫১ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৩ হাজার ৫৩১ জন।

গতকাল সোমবার মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছিল, ভূমিকম্পটি তুরস্কের গাজিআন্তাপ প্রদেশের নুরদাগি জেলার ২৩ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার।

আজ সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথমে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর ঘণ্টা খানেক পর ৭ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়। এরপর আরও কয়েকটি কম্পন অনুভূত হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

12h ago