আদানির বিদ্যুতের দাম চুক্তিতে যা ছিল তাই থাকবে: নসরুল হামিদ

নসরুল হামিদ
নসরুল হামিদ। ফাইল ছবি

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশ আদানির বিদ্যুৎ পাবে। বিদ্যুতের দাম চুক্তিতে যা ছিল, সেটিই থাকবে।

আজ রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্টে (পিপিএ) যা ছিল, সেটিই হবে। চুক্তিতে যা ছিল, সেটিই থাকবে। দাম ওঠানামা করবে আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লার দামের ওপর।

নসরুল হামিদ বলেন, 'নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত দেওয়ার চেষ্টা করছি। গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করছি। মার্চে যেন ভালো থাকে পরিস্থিতি সে চেষ্টা করছি। কয়লাভিত্তিক একটার পর একটা পাওয়ার প্ল্যান্ট আসছে। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোটা পাচ্ছি, রামপালও পুরোটা পাব, এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট পাচ্ছি। পরিস্থিতির উন্নতি হবে।'

আদানির বিদ্যুতকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আসার অনিশ্চয়তাকে বাজে কথা বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই মাসের (ফেব্রুয়ারি) ২৮ তারিখ আমাদের কমার্শিয়াল অপারেশনসের ডেট নির্ধারিত হয়েছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই আমরা আদানির বিদ্যুৎ পাব।

তিনি বলেন, আমাদের একটি প্রতিনিধিদল আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে গিয়েছিল। তারা বহু আগেই আমাদের বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। আমাদের সিওডি হবে, আশা করছি কোনো সমস্যা হবে না। দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও এপ্রিলের শেষ নাগাদ বিদ্যুৎ পাব।

কয়লার দামে কারসাজির সুযোগ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কয়লার প্রাইসিং হয় বিভিন্ন ধরনের ইনডেক্স থেকে। আমাদের সাথে আদানির যে চুক্তি হয়েছে, সে অনুযায়ী ওই ইনডেক্স থেকেই দাম নির্ধারণ করা হবে। আমরা কমপিটিটিভ প্রাইসে কয়লা পাব।

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লার চেয়ে আদানির দাম বেশি হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সেটিও নির্ভর করবে কত বেশি কয়লা কিনব তার ওপর। কয়লার দাম অস্বাভাবিক বেশি হবে হওয়ার সুযোগ নেই, এগুলো বাজে কথা।'

তিনি জানান, আদানির বিদ্যুৎ আনার কাজ শেষ পর্যায়ে। সঞ্চালনের কাজও শেষ অবস্থায় আছে।

বিশ্বব্যাপী আদানি বিতর্কের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমরা নিশ্চিত বিদ্যুৎ পাব, কমপিটিটিভ প্রাইসে পাব।'

এর আগে গত ৪ জানুয়ারি প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আদানির গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে আনা প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়বে ১৭ টাকা।

 

Comments

The Daily Star  | English
BDR protest Kakrail today

Cops use water cannons to disperse protesting dismissed BDR members in Kakrail

Police barred them when they were marching towards the chief adviser’s residence, Jamuna

1h ago