‘বিএনপির নেতৃত্বে শিষ্টাচার, মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও সততার ঘাটতি আছে’

মাহবুব উল আলম হানিফ
মাহবুব উল আলম হানিফ। ছবি: বাসস

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য সংগ্রাম করছে, কিন্তু পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, 'জনগণের আস্থা অর্জনে বিএনপি ধুঁকছে কারণ, তাদের দলের যে নেতৃত্বে আছে সেই নেতৃত্বে শিষ্টাচার, সভ্যতা, মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও সততার ঘাটতি আছে। তাদের নেতৃত্ব (তারেক রহমান) সমাজের কাছে আদর্শ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যে আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে পারেনি, সে কখনোই জনগণের নেতা হতে পারে না।'

হানিফ আজ শনিবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'উনাদের  নেতা তারেক রহমান। তার কোনো সভ্যতা, ভদ্রতা আছে? সভ্যতা সে শেখেনি। যার কারণে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, পতাকা পেয়েছি সেই জাতির পিতার নাম বলার সময় বলে মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিচিত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্মানীয়, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, নাম বলার সময় বলে হাসিনা। অথচ আমরা বেগম খালেদা জিয়া বলে সম্বোধন করি। হত্যা, দুর্নীতির দায়ে কারাগারে তবুও আমরা সম্মান করে বলি। এতেই প্রমাণ হয় তার মধ্যে শিষ্টাচার, ভদ্রতা নেই।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে সন্ত্রাসের রাজনীতি করেছে, নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে নির্যাতন করেছে। তাদের মধ্যে কোনো মানবতা বোধ ছিল না।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছি। ২০০৯ সালেও আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলারের নিচে, দারিদ্র্যসীমা ছিল ৬০ শতাংশ। আওয়ামী লীগ দেশের দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছে। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় আজ প্রায় ৩ হাজার ডলার। দারিদ্র্যসীমা ২০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা। যে স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন পূরণই এখন আমাদের লক্ষ্য।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago