সোনাদিয়া দ্বীপ থেকে সব কটেজ-তাঁবু সরানোর নির্দেশ

পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর দাবি, সোনাদিয়া দ্বীপে ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হলে সেখানকার জীববৈচিত্র্য হুমকির মধ্যে পড়বে। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপে পর্যটকদের জন্য অস্থায়ীভাবে গড়ে তোলা কটেজ ও তাঁবু সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।

সম্প্রতি এই নির্দেশ দেওয়ার আগে মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে দ্বীপটিতে রাতে পর্যটকদের অবস্থান না করতে অনুরোধ জানিয়েছিল।

সরকার ১৯৯৯ সালে সোনাদিয়া দ্বীপকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। এরপরও বেজা দ্বীপটিতে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন পার্ক গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে বেজার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দ্বীপটিতে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য অক্ষুণ্ণ রেখে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হবে।

গতকাল শুক্রবার জাতীয় সংসদের বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি সোনাদিয়া দ্বীপে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে।

মতবিনিময় সভায় কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সোনাদিয়া সৈকতের মতো সৈকত পৃথিবীতে খুব কম আছে। দ্বীপের পরিবেশ-প্রকৃতি-জীববৈচিত্র্য অক্ষুণ্ণ রেখেই ইকো-ট্যুরিজমের মাধ্যমে একে চমৎকার পর্যটন অঞ্চলে রূপ দেওয়া হবে। সোনাদিয়ার স্থায়ী বাসিন্দারা যেন ইকো-ট্যুরিজমের সার্বিক সুবিধা পায় সে বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন দাবি করে আসছে, সোনাদিয়া দ্বীপে যেন ট্যুরিজম পার্ক না করা হয়। তাদের মতে সেখানে ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হলে বিপুল পরিমাণ পর্যটকের আগমন ঘটবে। এতে দ্বীপটির জীববৈচিত্র্য হুমকির মধ্যে পড়বে।

Comments

The Daily Star  | English
court orders exhumation of 114 july killing victims

July killings: Court orders exhumation of 114 bodies for identification

A Dhaka court today ordered the authorities concerned to exhume 114 bodies of individuals killed during the July uprising in order to identify them

1h ago