মিঠুনের ফিফটিতে সাকিবদের হারাল ঢাকা

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বোলাররা রাখলেন সম্মিলিত অবদান। তাতে ফরচুন বরিশালকে মাঝারি সংগ্রহে বেঁধে ফেলল ঢাকা ডমিনেটর্স। লক্ষ্য তাড়ায় তাদের দুই ওপেনার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বেঁধে দিলেন সুর। সৌম্য সরকার না পারলেও ফিফটি তুলে নিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। জয় দিয়ে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে উঠল নাসির হোসেনের নেতৃত্বাধীন দল।

বিপিএলে মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সাকিব আল হাসানদের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতেছে ঢাকা। টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৬ রান করে বরিশাল। জবাবে ৭ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ১৫৭ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে ঢাকা।

১০ ম্যাচে ঢাকার এটি তৃতীয় জয়। তাদের পয়েন্ট ৬। অন্যদিকে, হেরে যাওয়ায় এবারের আসরের প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়ার অপেক্ষা বাড়ল বরিশালের। নয় ম্যাচে তারা পেয়েছে তৃতীয় হারের তিক্ত স্বাদ। ১২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে।

ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়েই পাওয়ার প্লে পার করে ফেলে বরিশাল। সপ্তম ওভারে সাইফ হাসানের বিদায়ে ভাঙে ৪২ রানের উদ্বোধনী জুটি। ধুঁকতে থাকা ওপেনার ১৯ বলে ১৫ রানে আফগানিস্তানের আমির হামজার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।

প্রথম উইকেট তুলে নেওয়ার পর উজ্জীবিত হয়ে ওঠে ঢাকা। দ্রুত তারা বিদায় করে দেয় প্রতিপক্ষ দলনেতা সাকিব, আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরান ও পাকিস্তানের ইফতিখার আহমেদকে। একপ্রান্ত আগলে থাকা এনামুল হক বিজয় সাজঘরে ফিরলে দলীয় একশর আগেই ৫ উইকেট খুইয়ে ফেলে বরিশাল।

চলতি আসরে রানের জন্য সংগ্রাম করতে থাকা মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে-বলে সংযোগ হচ্ছিল ভালো। ক্যাচ বানিয়ে তার ঝড় থামান বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। এরপর করিম জানাত ক্রিজে গিয়েই মারতে শুরু করেন। ফলে শেষ তিন ওভারে বরিশাল স্কোরবোর্ডে যোগ করে ৪৫ রান।

ওপেনার বিজয় ৫ চার ও ১ ছয়ে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন ৩৫ বলে। ২৭ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান আসে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে। ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হওয়া আফগানিস্তানের জানাত ৫ বল খেলেই করেন ১৭ রান। হামজা ২ উইকেট নেন ২২ রানে।

রান তাড়ায় ঢাকার শুরুটা হয় দুর্দান্ত। সৌম্য ও মিঠুন চড়াও হন প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর। পাওয়ার প্লেতে চলে আসে বিনা উইকেটে ৫৫ রান। ষষ্ঠ ওভারে খালেদ আহমেদ দিশেহারা হয়ে পড়েন। মিঠুন টানা মারেন ছক্কা, ছক্কা ও চার। ওই ওভার থেকে আসে ১৮ রান।

অষ্টম ওভারে ভাঙে ৭৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। জানাতের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে উইকেটরক্ষক বিজয়ের গ্লাভসবন্দি হন সৌম্য। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান। ২২ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ৪ চার ও ২ ছক্কা।

সৌম্য আউট হলেও মিঠুন এগোতে থাকেন আগের ছন্দেই। সালমান হোসেনকে চার মেরে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি। সেজন্য তার লাগে ৩৩ বল। তবে ফিফটির পর আর লম্বা হয়নি তার ইনিংস। সানজামুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন মিঠুন। ৩৬ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় তিনি করেন ৫৪ রান।

তিনে নামা তরুণ আবদুল্লাহ আল মামুন বেশ নজর কাড়েন। তার সম্ভাবনায় ইনিংসেরও ইতি টানেন বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল। ২১ বলে ২৬ রান করে থামেন তিনি। এর আগে সানজামুলকে মারেন টানা দুই ছক্কা।

জয় যখন হাতের নাগালে তখনই জোড়া উইকেট হারায় ঢাকা। একই ওভারে সাকিব ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স ব্লেককে ক্যাচ বানানোর পর বোল্ড করে দেন আরিফুল হককে। আফগানিস্তানের উসমান ঘানিকে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন অধিনায়ক নাসির। তিনি ২৬ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। সাকিব ১৮ ও সানজামুল ৩৫ রানে ২ উইকেট পান।

Comments

The Daily Star  | English

From subsistence to commercial farming

From the north-western bordering district Panchagarh to the southern coastal district Patuakhali, farmers grow multiple crops to sell at markets

3h ago