১১ ফেব্রুয়ারি দেশে তৈরি অটোরিকশা বাজারে আনছে রানার

১১ ফেব্রুয়ারি দেশে তৈরি অটোরিকশা বাজারে আনছে রানার
দেশে তৈরি অটোরিকশা বাজারে আনছে রানার

দেশের প্রথম ৩ চাকার 'মেড ইন বাংলাদেশ' অটো রিকশা বাজারে আনছে রানার। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই অটো রিকশা বিক্রি শুরু হবে।

ভারতীয় গাড়ি নির্মাতা বাজাজ অটোর প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় ইঞ্জিনের কিছু উপাদান ছাড়াও চ্যাসিস, বডি এবং টায়ারসহ অন্তত ৭০ শতাংশ যন্ত্রাংশ স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

কোনো দেশ যদি একটি গাড়ির অন্তত ৩০ শতাংশ উপাদান স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করে থাকে তাহলে সেটাকে সে দেশের তৈরি গাড়ি বলে ধরা হয়।

ময়মনসিংহের ভালুকায় রানার কারখানায় অটোরিকশাটির উৎপাদন প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করেন বাজাজের একটি বিশেষজ্ঞ দল। তারা অটোরিকশাটি পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়ে দেখেন, সেটি তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) এবং কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাসে (সিএনজি) চলতে সক্ষম বলে জানিয়েছে রানার। 

রানারের কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আমদানি করা গাড়ির তুলনায় এটির দাম অন্তত ১৫ শতাংশ কম পড়বে। বর্তমানে আমদানি করা প্রতিটি অটোরিকশার দাম প্রায় ৬ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) মতে, গত ১২ বছরে দেশে গড়ে প্রায় ১৬ হাজার ৫০০ থ্রি-হুইলার নিবন্ধিত হয়েছে।

৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯.২ একর জমিতে গড়ে ওঠা রানার কারখানাটিতে প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার গাড়ি উৎপাদন করে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানিও করতে পারবে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে ৩০০ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

রানারের কারখানাটিতে রয়েছে আধুনিক ওয়েল্ডিং লাইনস, ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল পেইন্টিং প্রক্রিয়া, অটোমেটিক স্লট কনভেয়র, টর্ক কন্ট্রোল নিউমেটিক গান, ডায়নামোমিটার, সাসপেনশন এবং ইঞ্জিন পরীক্ষার সরঞ্জাম।

রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি এই প্ল্যান্টটি দেশের অটোমোবাইল সেক্টরে বিপ্লব ঘটাতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।'

সরকার যদি নীতিগত সহায়তা দেয় তাহলে সারা বিশ্বে গাড়ি বিক্রি করা যাবে বলেও জানান তিনি। 

এ ছাড়া হাফিজুর রহমান খান বলেন, 'আমাদের কারখানার সব শ্রমিক পুরোপুরি প্রশিক্ষিত।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Ending impunity for crimes against journalists

Though the signals are mixed we still hope that the media in Bangladesh will see a new dawn.

16h ago