বিপিএলে স্পিড মিটার নিয়ে রুবেলের সন্দেহ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

চলমান বিপিএলে টিভি প্রোডাকশনে যে স্পিড মিটার ব্যবহার করা হচ্ছে, তা আসলে নিখুঁত কিনা তা নিয়ে চর্চা চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রুবেল হোসেন। সিলেট স্ট্রাইকার্সের এই অভিজ্ঞ পেসারও প্রকাশ করলেন সংশয়। তবে দেশের তরুণ ও উদীয়মান পেসারদের নিয়ে প্রশংসার ফুলঝুরি ছড়ালেন তিনি।

ডেলিভারির গতি পরিমাপের জন্য বিপিএলে ব্যবহৃত স্পিড মিটার এবার অনেক সময় এমন গতি দেখাচ্ছে, যা রীতিমতো বিস্ময়কর। কিছু পেসারের ক্ষেত্রে নিয়মিত ১৪৫ কিলোমিটারের বেশি গতির দেখা মিলছে যেটা নিয়ে সন্দেহ ওঠা স্বাভাবিক।

বিষয়টি নিয়ে ডানহাতি ফাস্ট বোলার রুবেলও জানালেন নিজের সংশয়ের কথা। গতকাল সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৪ উইকেট নেন তিনি। একইসঙ্গে দ্বিতীয় বোলার ও প্রথম পেসার হিসেবে বিপিএলে শততম উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, 'আমি জানি না আসলে এই মিটারটা পুরোপুরি ঠিক আছে কি না… তারপরও একটা নতুন পেস বোলার যখন দেখে, তার বলের স্পিড ১৪৫ কিলোমিটার, তার ভেতরে কিন্তু অনেক ভালো লাগা কাজ করে…. কীভাবে আরও স্পিড বাড়ানো যায়। নিজের ভেতর আত্মবিশ্বাস… আমার কাছে মনে হয়, খুবই ভালো লাগা কাজ করে।'

সিলেটের একাদশে নিয়মিত জায়গা মিলছে না রুবেলের। কারণ রেজাউর রহমান রাজা ও তানজিম হাসান সাকিবের মতো তরুণ পেসাররা ভালো করছেন। বিপিএলে এবার অন্যান্য দলগুলোতেও প্রতিশ্রুতিশীল কয়েকজন তরুণ পেসারকে দেখা যাচ্ছে যা দেশের ক্রিকেটের জন্য ইতিবাচক দিক মনে হচ্ছে রুবেলের, 'আমাদের দেশে অনেক তরুণ ক্রিকেটার আছে, তারা খুবই প্রতিশ্রতিশীল। আমার কাছে মনে হয়, তারা খুবই প্রতিভাবান, দেখছি সবাই খুবই জোরে বল করে। এটা আমাদের দেশের জন্য খুবই ভালো। আমি বিশ্বাস করি তারা জাতীয় দলকে লম্বা সময় সার্ভিস দেবে।'

উঠতি পেসারদের সঙ্গে নিজের কোনো লড়াই দেখছেন না রুবেল। ফিট থাকলে আরও লম্বা সময় খেলা চালিয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তার, 'চ্যালেঞ্জ আসলে... এদের সঙ্গে আমার কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। নিজের সঙ্গেই আমার চ্যালেঞ্জ। আমি জানি, আল্লাহ আমাকে কতটুকু সামর্থ্য দিয়েছেন। আমি যদি ফিট থাকি, তাহলে আমি মনে করি যে কোনো পর্যায়ে খেলতে পারব।'

উল্লেখ্য, প্রথম দল হিসেবে এবারের বিপিএলে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে সিলেট। আগের দিন নিজেদের মাঠে ৩১ রানে জিতেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯২ রানের বড় পুঁজি পায় তারা। জবাবে ১৪তম ওভার পর্যন্ত লড়াইয়ে ছিল খুলনা। তবে শেষ পর্যন্ত পুরো ওভার খেলে তারা পৌঁছাতে পারে ৯ উইকেটে ১৬১ রান পর্যন্ত।

Comments

The Daily Star  | English

From subsistence to commercial farming

From the north-western bordering district Panchagarh to the southern coastal district Patuakhali, farmers grow multiple crops to sell at markets

3h ago