ডিএসসিসিতে ৫০ হাজারের বেশি বেওয়ারিশ কুকুর: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ৫০ হাজারের বেশি বেওয়ারিশ কুকুর আছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ওয়ারির ফকিরচাঁন কমিউনিটি সেন্টারে 'কুকুর বন্ধ্যাত্বকরণ কর্মসূচি'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র তাপস বলেন, 'আমাদের কাছে থাকা তথ্যানুযায়ী, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫০ হাজারের বেশি বেওয়ারিশ কুকুর রয়েছে। সুতরাং বেওয়ারিশ কুকুরের বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণে আমাদের একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। সেজন্য সারা বিশ্বের মতো বেওয়ারিশ কুকুরের বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণে আমরা বন্ধ্যাত্বকরণ কার্যক্রম শুরু করছি। বড় বড় শহর বা উন্নত শহরগুলোতে বেওয়ারিশ কুকুর বা অন্যান্য প্রাণী যত্রতত্র চলাচল করতে পারে না। সেগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাদের নাগরিকরা সেগুলোর পরিচর্যা করেন, নিয়ন্ত্রণে রাখেন এবং সেভাবেই একটি সুন্দর শহর গড়ে ওঠে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যাপারে নজর না দেওয়ার কারণে ঢাকা শহরে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আজকের বন্ধ্যাত্বকরণ কার্যক্রম উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা প্রত্যেকটা অঞ্চলেই আমাদের এই কার্যক্রম শুরু করব। অঞ্চল ৫ থেকে আমরা শুরু করছি। আমাদের অঞ্চল ১-৪ এবং পরে আমাদের নতুন অঞ্চলেও এই কার্যক্রম চলবে। আমরা আশাবাদী, কিছুদিন পরেই ঢাকাবাসী এই কার্যক্রমের উপকার পাওয়া শুরু করবে এবং এই বেওয়ারিশ কুকুরের বিস্তৃতি রোধ হবে। ধীরে ধীরে সেটা কমে আসবে এবং ঢাকাবাসী অচিরেই বেওয়ারিশ কুকুরের বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণের সুফল পাওয়া শুরু করবে।'
দীর্ঘদিন পরে করপোরেশন থেকে এই কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, 'ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দীর্ঘদিন ধরে কোনো পশু চিকিৎসক ছিল না। প্রায় ২০ বছর পর আমরা ৫ জন পশু চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছি। আমরা আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগকে সংস্কার করছি।'
উদ্বোধনী দিনে মোট ১০টি কুকুরকে বন্ধ্যাত্বকরণ কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকার কুকুরকে এই কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে। প্রতিদিন ১০টি করে কুকুরকে বন্ধ্যাত্বকরণের আওতায় আনা হবে।
কুকুরগুলোকে চিহ্নিত করার সুবিধার্থে সেগুলোর কান ফুটো করা হবে এবং সেগুলোর ঘাড়ে নীল (স্থায়ী রং) স্প্রে করে দেওয়া হবে।
এ সময় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো উপস্থিত ছিলেন।
Comments