র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা

‘মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে পরিষ্কার হয়েছে আ. লীগের মিথ্যাচার’

ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের মিথ্যাচার মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে পরিষ্কার হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, 'সরকার গণমাধ্যমকে জোর করে ব্যবহার করে বলতে চেয়েছে জনগণের সামনে যে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার অবস্থান পরিবর্তন করেছে এবং নিষেধাজ্ঞা তারা তুলে নেবেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সরকার একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চায় জনগণকে সে রকম একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। রাতে মার্কিন দূতাবাসের দেওয়া বিবৃতিতে পরিষ্কার হয়ে গেছে, আসলে অতীতেও আওয়ামী লীগের গণবিচ্ছিন্ন সরকার সব সময় মিথ্যাচার করে এসেছে।'

তিনি বলেন, 'অত্যন্ত লজ্জার বিষয়, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই মিথ্যাচার করা হয়েছে এবং সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস প্রতিবাদ জানিয়েছে।' 

'আমরা মনে করি, বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভর করে কখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না। জনগণের শক্তিতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বরাবর। এবারও জনগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। জনগণ সব বাধা-বিপত্তি, হত্যা-নির্যাতন উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং সংগঠিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারত—কে কী বলবে তার পেছনে নিশ্চয়ই ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি থাকে। কিন্তু আমরা যেটা লক্ষ্য করছি, গণতন্ত্রের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি সেটা তারা দৃঢ়তার সঙ্গে প্রকাশ করেছে। একটি স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে তারা মন্তব্য করেছেন। গণতন্ত্র যদি কোথাও ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমরা সে কথা বলবো। আমরা পরামর্শের কথাও জোর দিয়ে বলবো,' বলেন ফখরুল।

তিনি আরও বলেন, 'আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা কীভাবে বলতে পারেন যে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে? তিনি (ডোনাল্ড লু) তো এ কথা বলেননি!'

আমরা নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারটাতে আনন্দিত নই মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আমরা বারবার বলেছি, এই নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য লজ্জাজনক, বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক। নিষেধাজ্ঞা আসা উচিত ছিল সরকারের ওপর। সরকারের নির্দেশে এসব ঘটনা ঘটেছে অতীতে।'

'নিষেধাজ্ঞা জনগণ দিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দিলো কি দিলো না সেটা অপ্রাসঙ্গিক। সামনে জনগণ সে নিষেধাজ্ঞাকে বাস্তবায়িত করবে,' বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, এই সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাবে না। আমরা বিশ্বাস করি, এই সরকারের অধীনে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কখনোই অবাধ-সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্যমূলক নির্বাচন হতে পারে না।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

1h ago