ওয়াহাব-বাটের তোপের পর তামিমের ব্যাটে খুলনার প্রথম জয়

দুই পাকিস্তানি পেসার আমাদ বাট ও ওয়াহাব রিয়াজের তোপে লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই রাখতে পারে খুলনা টাইগার্স। এরপর ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন তামিম ইকবাল। এবারের আসরে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন তরুণ মাহমুদুল হাসান জয়। তাতে আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেল খুলনা টাইগার্স।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভার ব্যাট করে ১৯ রানে অলআউট হয় রংপুর। জবাবে ১০ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় খুলনা।

বিপিএলে এবার খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারছিল না খুলনা। প্রথম তিন ম্যাচেই হার। ঢাকা পর্বে দুটি হারের পর চট্টগ্রাম পর্বেও বিবর্ণ সূচনা। সাগরিকায় এই রংপুরের বিপক্ষেই হেরেছিল দলটি। সে দলটির বিপক্ষে ফিরতি লড়াইয়ে জয় তুলে গেঁড়ো খুলেছে ইয়াসির আলী রাব্বির দল।

এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিংয়ে নামে রংপুর। তবে শুরু থেকেই চাপে থাকে দলটি। ঘূর্ণির মায়াজাল বিছিয়ে টপ অর্ডার ভেঙে দেন নাহিদুল ইসলাম। এরপর পাকিস্তানি পেসার আমাদ বাটের দাপটে দাঁড়াতে পারেনি মিডল অর্ডারও। আর লেজ ছাঁটাইয়ের কাজটা দারুণভাবে করেন ওয়াহাব রিয়াজ। তাতে লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই থাকে খুলনার।

মূলত শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় গড়ে ওঠেনি বলার মতো কোনো জুটি। তৃতীয় উইকেটে পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে শেখ মেহেদী হাসানের গড়া ২৯ রানের জুটি ইনিংসের সর্বোচ্চ। ব্যক্তিগতভাবেই কোনো ব্যাটারও পারেননি দায়িত্ব নিতে।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন মেহেদী। তবে রানের গতি সে অর্থে বাড়াতে পারেননি। ৩৪ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২৪ বলে ২৫ রান করেন ইমন। খুলনার পক্ষে ১৪ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান ওয়াহাব। ১৬ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট আমাদ। এছাড়া ২টি শিকার নাহিদুলের।

এরপর লক্ষ্য তাড়ায় দেখে শুনেই ব্যাট করতে থাকেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মুনিম শাহরিয়ার। ৪১ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। যদিও ব্যক্তিগত ১০ রানে শেখ মেহেদী হাসানের বলে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন মুনিম। সে ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ নাওয়াজ।

তবে জীবন পেয়েও খুব বেশি দূর আগাতে পারেননি মুনিম। আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে হাঁকাতে গিয়ে কভারে ধরা পড়েন শোয়েব মালিকের হাতে। এরপর মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে দলের হাল ধরেন তামিম। অবিচ্ছিন্ন ৮৯ রানের গুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তারা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তামিম। ৪৭ বলের ইনিংসটি সাজাতে ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন ৩৫ বল ফিফটি স্পর্শ করা এ ওপেনার। ৪২ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন জয়। মুনিমের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান।

Comments

The Daily Star  | English

ICT investigators submit report against Hasina, 2 others

The charges stem from the violent crackdown during the July 2024 mass uprising

53m ago