আরব আমিরাত সফরে দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট, বাড়াতে চান অস্ত্র বিক্রি

ইউন ও তার স্ত্রী কিম কেওন হিকে রোববার আবুধাবিতে অভ্যর্থনা জানানো হয়। ছবি: রয়টার্স

সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর শুরু করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। আজ রোববার তাকে আরব আমিরাতে স্বাগত জানানো হয়। ইউন সুক ইওল আমিরাতে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি বাড়ানোর আশা করছেন বলে দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে জানিয়েছে এপি।

এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউন এমন সময় এই সফরে গেলেন যখন দক্ষিণ কোরিয়া আরব আমিরাতের সঙ্গে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়িক চুক্তিতে আছে এবং আমিরাতের সুরক্ষায় বিশেষ বাহিনী নিযুক্ত করেছে। এ নিয়ে পূর্বসূরীদের সমালোচনার মধ্যে থাকা ইউন এখন এসব সামরিক সংযোগ দ্বিগুণ করতে চান।

স্মিট ফিউচারের ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফোরামের ফেলো জুন পার্ক এপিকে বলেন, 'আমি মনে করি ভূ-রাজনীতির ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। সুতরাং কোরিয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কিছু কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং উপাদান নিশ্চিত করতে চায়।'

ইউন ও তার স্ত্রী কিম কেওন হি রোববার আবুধাবির কাসর আল ওয়াতান প্রাসাদে পৌঁছানোর পর আমিরাতের নেতা শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান তাদের অভ্যর্থনা জানান। এরপর শেখ মোহাম্মদ সংযুক্ত আরব আমিরাত দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে- এ তথ্য জানান বলে ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির বরাতে উল্লেখ করেছে এপি।

তিনি বলেন, 'আমরা কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রতি আস্থা রেখে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যারা সব পরিস্থিতিতে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে।'

দক্ষিণ কোরিয়া ১০ শতাংশেরও কম অপরিশোধিত তেলের জন্য আমিরাতের ওপর নির্ভর করে। তারপরও সিউল দেশটির সঙ্গে তেলের বাইরে বেশ কয়েকটি চুক্তি করেছে, যা দেশটিকে আবুধাবির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে আবদ্ধ করে।

ইউনের সফরের আগে, দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা এই সফরটিকে ২ দেশের মধ্যে ইতোমধ্যেই বিদ্যমান সম্পর্ককে দৃঢ় করার প্রচেষ্টা হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।

ইউনের সরকারের জাতীয় নিরাপত্তার পরিচালক কিম সুং-হান তখন বলেন, 'এই সফর আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে পারমাণবিক শক্তি, জ্বালানি, বিনিয়োগ এবং প্রতিরক্ষার ৪টি মূল খাতে কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করবে।'

শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রেসিডেন্সি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেছে, 'একটি অস্ত্র চুক্তির পরিকল্পনাও আছে দক্ষিণ কোরিয়ার।'

ইয়োনহাপের বরাত দিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, 'দক্ষিণ কোরিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে অস্ত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত নিরাপত্তা বা সামরিক সহযোগিতার পরিবেশ অত্যন্ত উপযুক্ত।'

একটি উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ডিজাইনের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া ২০২২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ৩.৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে। ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের দূরপাল্লার ড্রোন হামলায় লক্ষ্যবস্তু হওয়ার পর আমিরাত আকাশসীমা রক্ষার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে।

Comments