আবুল আহসান চৌধুরী: একজন ঋত্বিক গবেষক
গবেষণাকে কীভাবে সাধনার পর্যায়ে নিয়ে যেতে হয় আবুল আহসান চৌধুরীর এষণায় তার ছাপ রয়েছে প্রোজ্জ্বলরূপে। এ জগতে তার বিস্তার ও বিস্তৃতি ঈর্ষণীয়। একজন সংগ্রাহক-সংকলক-সম্পাদক সত্তায়-তিনি সদর্থক অর্থেই প্রজ্ঞার দ্যুতি ছড়িয়েছেন। এষণার জগত পুথুলা হলেও মানে ও প্রয়োজনে স্থূল নয় মোটেই। প্রতিটি কাজেই রয়েছে আমাদের জাতিসত্তা ও জাতীয় ইতিহাস নির্মাণের আকর সব উপাদান। আবুল আহসান চৌধুরী জীবনভর এই কাজটাই করে গেছেন একজন ঋত্বিক গবেষকের সাধনমন্ত্রে।
বাঙালির ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের হলেও রাষ্ট্রের অভিজ্ঞতায় সে নবীন। এখন সময় সেই নবীন রাষ্ট্রের ইতিহাস নির্মাণের, জাতিসত্তার ঠিকুজি অন্বেষণের। আবুল আহসান চৌধুরী তার সংগ্রহ সম্পাদনা সম্পাদকীয়তা ও গবেষণায় ইতিহাসের সেই নির্মাণ ও ঠিকুজি অন্বেষণের কাজটি করে চলেছেন একজন ঋত্বিক গবেষকের ধ্যানমগ্নতায়।
একজন ব্যক্তি কীভাবে ঋত্বিক গবেষক হয়ে উঠতে পারেন, তার সার্থক প্রতিভূ হলেন আবুল আহসান চৌধুরী। আর দশজন বাঙালি তরুণের মতো তারুণ্যে তিনিও কবিতা দিয়ে উন্মোচন করেন নিজেকে। লিখেছেন কবিতা। সৌম্য কান্তি চেহারার সুদর্শন কিশোর সৃজনশীল প্রতিভায় জয় করেছিলেন অগণন মন ও মনন। কৈশোর পেরোনোর কালেই বেরোয় প্রথম কবিতার বই, 'স্বদেশ আমার বাংলা'। সময়টা তখন ১৯৭১। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মাহেন্দ্রক্ষণ। অগ্রজ ওয়ালিউল বারী চৌধুরী সেই সময় সম্পাদক-প্রকাশক হিসেবে বের করেন 'স্বাধীন বাংলা' পত্রিকা। ১৯৭১ সালের ১৫ এপ্রিল নদীয়া জেলার রানাঘাট থেকে প্রকাশিত পত্রিকাটি ছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রথম পাক্ষিক। একজন কবি, একজন শিক্ষক হিসেবে তার মানস গঠন হলেও তিনি মূলত ছিলেন একজন নিষ্ঠাবান গবেষক। গবেষণাকে সাধনার স্তরে নিয়ে যেতে তিনি হাজির করেছেন তুলনারহিত এক উদাহরণ। অবশ্য শিক্ষক হিসেবেও তিনি ছিলেন শিক্ষার্থীদের কাছে সবিশেষ শ্রদ্ধা ও প্রিয়তায় মোড়ানো একজন অভিভাবক।
বিশ্ববিদ্যালয় যাদেরকে শিক্ষক হিসেবে পেলে গৌরববোধ করেন তিনি তাদের অন্যতম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাকালীন উপাচার্য পি জে হার্টগ এই মানের শিক্ষকদের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি মনে করতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মূলত এঁরাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রধানত দুটি কাজ। শিক্ষকতা এবং গবেষণা। এর মধ্যে আবার গবেষণাটা জরুরি। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হল জ্ঞান উৎপাদন করা। বর্তমানের জ্ঞানকাণ্ডকে প্রশ্ন করা। অতীতের আলোয় ভবিষ্যতকে নির্মাণের পাথেয় যোগানো। আবুল আহসান চৌধুরী ছিলেন সেইরকম শিক্ষকদের প্রতিভূ। পেশাগত জীবনের পুরোটাই কাটিয়েছেন শিক্ষকতায়। শিক্ষকতা ও গবেষণায় কৃতীমুখ, ঈর্ষণীয় এক জ্ঞানসাধক।
সম্প্রতি চুকিয়েছেন শিক্ষকতা জীবনের প্রতিদিনের রোজনামচা। প্রাতিষ্ঠানিকতা থেকে অবসর প্রাপ্তির অপার সুযোগে গবেষণায় হয়েছেন আরও বেশি নিবেদিত, ধ্যানমগ্ন এক সাধক। আমরা জানি, বাংলা ভাষার কীর্তিমান মানুষদের নিয়ে গবেষণায় তিনি আক্ষরিক অর্থেই তুলনারহিত এক নাম। অর্ধশতক ধরে লালন-রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-কাঙাল হরিনাথ-মীর মশাররফ হোসেনের মতো বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রখ্যাত সব ব্যক্তিত্বদের জীবন ও কর্ম নিয়ে উনার অনুসন্ধান দেশে-বিদেশে কেবল প্রশংসা কুড়োয়নি, সম্মান ও সমীহ জাগিয়েছে বিদ্বজ্জনদের মাঝে। উনার সংগ্রহে এখনও এমন সব আকর তথ্য-উপাত্ত রয়েছে যা যে কোনো গবেষকের জন্য ঈর্ষণীয় । অবসর জীবনেও তিনি নিরলসভাবে করে যাচ্ছেন সেসব সংগ্রহ যজ্ঞ থেকে। আবুল আহসান চৌধুরীর কাজের বিস্তার ও পরিধি যেমন ঐশ্বর্যমণ্ডিত তেমনই বহুধাবিস্তৃত। ছোট্ট পরিসরে তো নয়ই এক দুটো বইয়ের মোড়কেও সেই কাজের যথাযথ মূল্যায়ন করা দুরূহ।
আবুল আহসান চৌধুরী লালন গবেষণায় কেবল পাঠকদের কাছে নয়, লালন অনুরাগী শ্রোতা, লালন ঘরানার সাধক-ভক্তকুল ও শিল্পীসহ লালন নিয়ে গবেষণা ও লেখালেখি করা সকলের কাছেই সবিশেষ শ্রদ্ধেয়জন। এক্ষেত্রে তিনি পৌরহিত্য করার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। বলা যায় তিনি 'অথোরিটি' হয়ে উঠেছেন লালন গবেষণায়। স্বগতোক্তির মতো অনেকেই জানিয়েছেন উনাদের বাউল প্রীতি ও লালন প্রেমের পেছনে সলতে পাকানোর কাজটা করেছেন আবুল আহসান চৌধুরী। এই তালিকায় আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে পারি আহমদ শরীফকে তেমনি অন্নদাশঙ্কর রায়কেও। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'মনের মানুষ' যা গৌতম ঘোষ রূপান্তর করেছেন সেলুলয়েডের ফিতায়। সেসবের নেপথ্যে সলতে পাকানোর কাজটা করেছেন আবুল আহসান চৌধুরী।
লালনের জন্মস্থান নিয়ে বিভ্রান্তিসহ অনেক ধোঁয়াশা এবং 'কথিত' উপাদান সমূহ দূর হয়েছে আবুল আহসান চৌধুরীর গবেষণায়। লালনকে নাগরিক সমাজের কাছে আরও বেশি আদৃত করার ক্ষেত্রে-প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে লালন গবেষণাকে উৎসাহিত ও স্থায়িত্ব করার ক্ষেত্রে যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি তাদের অন্যতম। লালন গবেষণায় নিজেকেই তিনি উন্নীত করেছেন সার্থক এক প্রতিষ্ঠান রূপে। শুধু লালন গবেষণায় নয় কাঙাল হরিনাথ, মীর মশাররফ হোসেন সহ অনেকের ক্ষেত্রেই তিনি স্বয়ম্ভু এক প্রতিষ্ঠানে পরিগণিত হয়েছেন। একথা কোনোপ্রকার ঢাক ঢাক গুড় গুড় না করে, সংশয় না রেখে দায়িত্ব নিয়েই বলা যায় বাংলা ভাষায় এই মুহূর্তে আবুল আহসান চৌধুরী একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী গবেষক-সংগ্রাহক-সংকলক- লেখক।
আমরা জানি, আবুল আহসান চৌধুরী কাঙাল জীবনীর কেবল রচয়িতা নন, উনার দুষ্প্রাপ্য লেখালিখি-গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকা ও এতদ্বিষয়ক দলিল দস্তাবেজ সংগ্রহ করেনই ক্ষান্ত হননি, কাঙালের জীবন ও কর্মের আলোকে যথার্থ ও যথাযথ মূল্যায়নের কাজটি করেছেন। কাঙাল হরিনাথকে উপস্থাপন করেছেন 'গ্রামীণ মনীষার প্রতিকৃতি' রূপে। লক্ষণীয়, অবিভক্ত বঙ্গ বা বাংলায় উনিশ শতকের নবজাগরণের কথা বলা হলেও সেখানে পূর্ববঙ্গের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। এমনকি লালন-কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের স্থান হয়নি সেখানে। অথচ উনিশ শতকে শুধু নয় বাংলা ভাষায় লালনের মতো আর একটি চরিত্রও নেই যিনি সাম্প্রদায়িকতা-জাতপাতের বিরুদ্ধে ওইরকমভাবে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেছেন। লালন যদি উনিশ শতকের বঙ্গীয় নবজাগরণের প্রতিনিধি স্থানীয় না হন, তাহলে সেই নবজাগরণের সামগ্রিকতা পূর্ণতা পায় কীভাবে?
কাঙাল হরিনাথ ব্যক্তির নিরিখে এবং গ্রামবার্তা প্রকাশিকার সম্পাদকীয়তা ও সাংবাদিকতায় উনিশ শতকের গ্রাম বাংলায় নদীয়া ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে অবদান রেখেছেন তাও সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে তুলনারহিত। অথচ বঙ্গীয় নবজাগরণের প্রতিনিধিকারকদের মধ্যে রাখা হয়নি উনাকে। এইসব উপেক্ষা, অনভিপ্রেত অবিচার বঙ্গীয় নবজারণকে যেমন বৃত্তবন্দী করেছে তেমনি এর পতাকা যারা উড্ডীন করেছেন তাদের মানস নির্মাণ, জ্ঞানকাণ্ডের ঔদার্য ও উজ্জ্বলতার প্রতি জারি রেখেছে বিবিধ প্রশ্ন। অতিসম্প্রতি সিগনেট প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়েছে প্রসাদ সেনগুপ্তের বঙ্গীর নবজাগরণ সম্পর্কিত বই 'নবজাগরণের বঙ্গ ও বাঙালি'। লেখক সেখানে কাঙাল হরিনাথকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। যার মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছে পূর্ববঙ্গের কোনো কীর্তিমান। আমরা মনে করি, এর পেছনে রয়েছে আবুল আহসান চৌধুরীর কাঙাল হরিনাথ বিষয়ক নিরলস পরিশ্রম ও গবেষণা।
শুধু উনিশ শতকের ব্যক্তিত্ব কিংবা লালন-হরিনাথ-মীর মশাররফ, রবীন্দ্রনাথ-নজরুল নয় চৌধুরীর গবেষণায় রয়েছে বিশ শতকের প্রতিভাবান বাঙালিও। রাধাবিনোদ পাল তাদের অন্যতম। যিনি বাঙাল মুলুকে যতটা পরিচিত তার চেয়েও অধিক পরিচিত হল জাপানে। পূর্ববঙ্গের এই বাঙালিকে জাপানমূলুকে অনেকটা ধর্ম প্রণেতাদের মতো করে দেবতাজ্ঞানে শ্রদ্ধা ও সস্মান প্রদর্শন করা হয়। কারণ, তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গঠিত আন্তর্জাতিক আদালতে জাপানকে যুদ্ধাপরাধীর তকমা ও জরিমানা থেকে রক্ষা করেছিলেন। 'টোকিও ট্রাইব্যুনাল' নামে পরিচিত সেই রায়ে রাধাবিনোদ পাল আইনের যে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও যুক্তি হাজির করেন তা আন্তর্জাতিক আইনের চৌহদ্দিতে মাইলফলক বিশেষ। আবুল আহসান চৌধুরীর গবেষণায় বিস্মৃতপ্রায় এই ব্যক্তিত্বের জীবন ও কাজ সম্পর্কে স্পষ্ট করে জানার সুযোগ হয়েছে।
আবুল আহসান চৌধুরী যে মাপের ও মানের গবেষক, তাতে উনাদের কাজের ক্ষেত্রকে নানাভাবে বিকাশমান করার সুযোগ করে দেয়া জরুরি। এমনটা করা হলে দেশ ও জাতি উপকৃত হওয়ার নানা পাথেয় পাবে। দিশা জাগানিয়া গবেষণায় ধন্য হয়ে উঠবে ভাষা ও সাহিত্য। কিন্তু তেমনটা করা হয়নি। উনাদেরই মতো গবেষকদেরই খুব বেশি করে হওয়া উচিৎ ইমেরিটাস অধ্যাপক। বঙ্গবন্ধু, নজরুল চেয়ারসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার অধ্যাপক সত্যিকারার্থে উনাদেরই প্রাপ্য, মর্যাদার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ। এসবের কোনো একটি হলেও উনারা গবেষক হিসেবে যে সাধনায় ব্যাপ্ত রয়েছেন তা সাবলীলভাবে চালিয়ে যেতে পারবেন। দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উনাদের পর্যায়ের অধ্যাপকদের স্বাভাবিক অবসরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই নানাবিধ কাজের সুযোগ করে দেয়া হয়। কারণ, উনারা যা কিছু করেন তাতো নিজের জন্য নন, উনাদের সকল কাজই মূলত দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে নিবেদিত।
আবুল আহসান চৌধুরী সেই মানের একজন শিক্ষক- গবেষক, যাদের পরিচয়ে বিশ্ববিদ্যালয় গর্ববোধ করে-ধন্য হয়ে ওঠে। বিদ্বান শিক্ষক, সাধক গবেষক, কৃতী শিক্ষার্থীরাইতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শোভা বর্ধন করেন। প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস ও পরিচিতি নির্মাণ করেন। তা ছাড়া তো বিশ্ববিদ্যালয় কেবলই ইট, কাঠ, লোহা লক্কড়ের সবচেয়ে বড়ো গুদামঘর বিশেষ।
আবুল আহসান চৌধুরী একজন মুক্তিযোদ্ধা, প্রগতিশীলতায় সমর্পিত একজন নৈয়ায়িক ব্যক্তিত্ব। বর্তমানে ক্ষমতাসীন যারা তাদের আদশির্ত শিক্ষক রাজনীতিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ-সদা সোচ্চার একজন শিক্ষক নেতা। সেই রাজনীতির নির্বাচনী লড়াইয়ে সর্বোচ্চ পদে প্রত্যক্ষ ভোটে শিক্ষক সমিতির সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছেন।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হয়নি তাকে। ব্যক্তি আবুল আহসান চৌধুরীর উপাচার্য হওয়া না হওয়ায় হয়তো কিছুই যায় আসে না। কিন্তু জাতি হিসেবে আমাদের দায় অপূর্ণ থেকে যায়। যা আমাদের সকলের জন্য বেদনা ও পরিহাসের। এমনকি উনার মতো লব্ধ প্রতিষ্ঠিত একজন গবেষক, যার সমপর্যায়ে এই সময়ে আক্ষরিক অর্থেই আরেকজন নেই, তবুও রাষ্ট্র তাকে প্রাপ্য সম্মান ও সম্মাননা জানাতে কার্পণ্য প্রদর্শন করে চলেছে। গবেষণায় বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন তাও অনেক পরে।
আবুল আহসান চৌধুরী গবেষণায়-সংগ্রহে-সংকলনে বাস্তবিকই জীবনভর সাধনা করে যাচ্ছেন। যেখানে মূল লক্ষ্য হিসেবে আমরা খুঁজে পাই দেশ ও জাতির গর্ব ও গৌরব নির্মাণের সামূহিক প্রয়াস। যা তিনি একজন ঋত্বিক গবেষকের মতোই ঋদ্ধকরে চলেছেন প্রতিনিয়ত। আবুল আহসান চৌধুরীর জন্মদিন ছিল গতকাল, ১৯৫৩ সালের ১৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জন্মদিন উপলক্ষে প্রত্যাশা রাখতে চাই যে, বাঙালি মনীষার অনন্য অভিজ্ঞানে তিনি শতায়ু হয়ে আর বেশি যেন উষ্ণীষ যুক্ত করেন।
Comments