গারো নেতা পীরেন স্নালের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বনরক্ষীদের গুলিতে গারো নেতা পীরেন স্নাল নিহতের ১৯ বছর আজ। ২০০৪ সালের ৩ জানুয়ারি মধুপুরে ইকোপার্ক বিরোধী আন্দোলনে বনরক্ষীদের গুলিতে নিহত হন পীরেন।
মধুপুরে পীরেন স্নালের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন গারো সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠন। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বনরক্ষীদের গুলিতে গারো নেতা পীরেন স্নাল নিহতের ১৯ বছর আজ। ২০০৪ সালের ৩ জানুয়ারি মধুপুরে ইকোপার্ক বিরোধী আন্দোলনে বনরক্ষীদের গুলিতে নিহত হন পীরেন।

এ উপলক্ষে মধুপুরে পীরেনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছে গারো সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠন। 

পরে জয়নাগাছা স্কুল প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের (বাগাছাস) কেন্দ্রীয় সংসদের আয়োজনে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

পীরেন স্নাল। ছবি: সংগৃহীত

স্মরণসভায় বক্তারা পীরেন স্নালের হত্যার বিচারসহ সমতলের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভূমি সমস্যার সমাধানের জন্য ভূমি কমিশন গঠনের দাবি জানান।

বাগাছাস সভাপতি জন জেত্রার সঞ্চালনায় জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেকের সভাপতিত্বে সভায় প্রবীণ নেতা অজয় এ মৃ, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অলিক মৃ, বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আন্টনি রেমা, আচিক মিচিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সুলেখা ম্রং প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৩ জানুয়ারি মধুপুরের জালাবাদা এলাকায় বন বিভাগের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের প্রচেষ্টার প্রতিবাদে স্থানীয়দের মিছিলে বনরক্ষী ও পুলিশ গুলি চালায়। এতে গারো যুবক পীরেন স্নাল নিহত হন এবং আহত হন আরও প্রায় ৩০ জন।

এ ঘটনার পর পীরেনের বাবা নেজেন নকরেক একটি হত্যা মামলা করলেও, পরে আদালত তা খারিজ করে দেন।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

8h ago