উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র নিলেন বিএনপি থেকে পদত্যাগকারী আব্দুস সাত্তার

আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া, বিএনপি
আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করা পাঁচ বারের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপনির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।

আজ রোববার বিকেলে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে তিনি মনোনয়নপত্র নিয়েছেন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান।

নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার পক্ষে রশিদ নামে এক ব্যক্তি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এছাড়াও এই কার্যালয় থেকে আরও ছয় জন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।

আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ ডিসেম্বর তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর এই আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন স্পিকার।। এই আসনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এরই মধ্যে গত ২৯ ডিসেম্বর তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পদ থেকেও পদত্যাগ করেন।

জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ঘোষণা হওয়ার আগে ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। পরবর্তীতে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ১২ জুনের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১ সালে সরকার তাকে আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন।

তার ছেলে মাইনুল হাসান ভূঁইয়া তুষার বলেন, বিএনপি বর্তমানে তাকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না, এমনকি দলীয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে উনাকে ডাকছেন না বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে, দলীয় কর্মকাণ্ডে উনার আর প্রয়োজন নেই। ফলে আমরা পারিবারিকভাবে উনার নিরিবিলি সময় কাটানোকেই শ্রেয় মনে করছি।

Comments

The Daily Star  | English

Moody's downgrades Bangladesh's ratings to B2, changes outlook to negative

“The downgrade reflects heightened political risks and lower growth, which increases government liquidity risks, external vulnerabilities and banking sector risks, following the recent political and social unrest that led to a change in government,” said Moody’s.

12m ago