অটোরিকশা চুরি নিয়ে সংঘর্ষ, ইউএনও-ওসিসহ আহত অন্তত ৪০

ট্যাঁটা-বল্লম, ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। ছবি: সংগৃহীত

সিএনজিচালিত অটোরিকশা চুরিকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউএনও এবং ওসিসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।

উপজেলার তেরকান্দা গ্রামে গতকাল সোমবার রাতে ও আজ মঙ্গলবার সকালে এ সংঘর্ষ হয়।

সরাইলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইন দ্য ডেইলি স্টারকে সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

ট্যাঁটা-বল্লম, ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, 'সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চুরি নিয়ে। স্থানীয় বারেক গোষ্ঠীর শাহারুলের দাবি, তার অটোরিকশা চুরি করেছে একই গ্রামের চান্দ গোষ্ঠীর আমির আলীর লোকজন। আমির আলী এ খবর পেয়ে শাহারুলের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। পরে তা সংঘর্ষে গড়ায়।'

দুই পক্ষের লোকজন ট্যাঁটা-বল্লম, ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

গ্রামবাসীদের বরাত দিয়ে সরাইল থানার ওসি রফিকুল হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চার দিন আগে তেরকান্দা গ্রামের বারেক গোষ্ঠীর শাহারুলের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চুরি হয়। এ নিয়ে সোমবার রাতে শাহারুল-আমির আলীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় ও পরে তা ভয়াবহ সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে দুই গোষ্ঠীর লোকেরা আজ সকালে আবার সংঘর্ষে লিপ্ত হন।'

প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে তাদের দিকেও ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। এতে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন ও ওসি রফিকুল হাসানসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। 

সংঘর্ষের সময় বেশ কিছু বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। 

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করেছে।

ওসি রফিকুল হাসান বলেন, 'পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। নতুন করে যেন কোনো সহিংসতা না ঘটে সেজন্য তেরকান্দা গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Poll irregularities: Sedition among 3 new charges added against three ex-CECs

BNP filed a case against 24 individuals, including three former chief election commissioners, 10 election commissioners, and top government and police officials, for their alleged role in irregularities and biasness during the national elections in 2014, 2018, and 2024.

12m ago