মেঘনায় জাহাজডুবি: ৬০ ঘণ্টা পরও শুরু হয়নি উদ্ধার কাজ

গত ২৫ ডিসেম্বর ভোরে ভোলা সদর উপজেলার তুলাতুলি সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া জাহাজ সাগর নন্দিনী-২। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ভোলার মেঘনা নদীতে ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেলসহ ডুবে যাওয়া সাগর নন্দিনী-২ জাহাজটির উদ্ধার কাজ ৬০ ঘণ্টা পরেও শুরু হয়নি। ইতোমধ্যে জাহাজের ট্যাংকারে থাকা তেল ছড়িয়ে ব্যাপক পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা।

রোববার ভোররাত ৪টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার তুলাতুলি সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

বিআইডব্লিউটিএ, নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আবদুস সালাম জানান, এই মুহূর্তে তেল খালাস করা ছাড়া উদ্ধারকার্য চালানো অসম্ভব। সেজন্য ২ জন ডুবুরিসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিকেল নাগাদ এসে পৌঁছালে প্রথমে  ভেতরের কম্পার্মেন্টে থাকা তেল উত্তোলন করা হবে। বিআইডব্লিউটিএ পরিচালক ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিচালক আবদুর রহিমকে প্রধান করে বিআইডব্লিউটিএ ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

তিনি পরিচালকের বরাত দিয়ে জানান, দুর্ঘটনার সময় ট্যাংকারটিতে পাইলট ছিলেন না।

আবদুস সালাম বলেন, ওয়েল ট্যাংকার উদ্ধারে বিআইডব্লিউটিএ'র প্রয়োজনীয় উদ্ধারকারী জাহাজ নেই। মালিক পক্ষ সাগরবধু-৩ ও ৪ নামক ২টি উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠিয়েছে। কিন্তু তেল উদ্ধার না করে জাহাজ উত্তোলন অসম্ভব। তেল উত্তোলন করেই উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হবে।

কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা কেএম শাফিউল কিঞ্জল জানান, ট্যাংকারে ৮টি কম্পার্মেন্টে ১১ লাখের বেশি তেল ছিল। তার মধ্যে ২ কম্পার্মেন্ট অকটেনের। বাকী ৬টি কম্পার্মেন্টে আনুমানিক প্রায় ৯ লাখ লিটার ডিজেল ছিল। ডিজেলের মধ্যে প্রায় ২ লাখ লিটার তেল পানি থেকে ল্যমর মেশিন থেকে ছেঁকে তোলা হয়েছে। বাকী ৬-৭ লাখ লিটারের কতটুকু ছড়িয়ে পড়েছে তা নিশ্চিত নয়। তবে এখন পর্যন্ত একটি কম্পার্মেন্ট সিল অবস্থায় রয়েছে। সেখানেও প্রায় দেড় থেকে ২ লিটার তেল আছে।

ভোলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. এমদাদুল্লাহ বলেন, তারা ওই স্থানের মাছের নমুনা পরীক্ষা করছেন। অঞ্চলটি ইলিশের অভয়াশ্রমের মধ্যে পড়েছে। এই মুহূর্তে কতটুকু দূষিত হয়েছে তা বলা সম্ভব নয়।

স্থানীয়রা জানান, নদীতে তারা তেল ভেসে যেতে দেখেছেন। এ নিয়ে তারা আতঙ্কিত।

নদীতে দূষণের কারণে মাছ না থাকলে হাজার হাজার জেলে মারা পড়বে, বলে জানান জেলে মো. আলাউদ্দিন।

ভোলা সদর উপজেলার বাসিন্দা এমদাদ মাঝি জানান, তিনি নদীর তীরে স্রোতে তেল ভাসতে দেখেছেন। তবে মাছ আহরণে এই মুহূর্তে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।

Comments

The Daily Star  | English

No sharp rise in crime, data shows stability: govt

The interim government today said that available data does not fully support claims of a sharp rise in crimes across Bangladesh this year

26m ago