ইজতেমার নিরাপত্তায় সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ, তুরাগে নৌ-টহল

সোমবার টঙ্গীতে ইজতেমা ময়দান পরিদর্শনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার। ছবি: স্টার

টঙ্গীতে আগামী জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়া, সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন এবং তুরাগ নদীতে নৌ-টহল থাকবে।

আজ সোমবার বিশ্ব ইজতেমা ২০২৩ এর সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ক সমন্বয় সভায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি প্রথম এবং মাঝখানে ৪ দিন বিরতি দিয়ে ২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় এই দুই পর্বে এবার বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।

ইজতেমার নিরাপত্তা বিষয়ক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরসহ গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করার আহ্বান জানান।

সভায় উপস্থিত সেনাবাহিনী প্রতিনিধির উদ্দেশে তিনি বলেন, 'ইজতেমায় আগতদের তুরাগ নদী পারাপারে ৮টি পন্টুন ব্রিজ নির্মাণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। সেনাবাহিনীর সে সক্ষমতা আছে।'

ইজতেমার দুই পর্বে ৬ দিন পাশের মহাসড়কে রিকশা এবং মোনাজাতের আগের দিন থেকে পরের দিন পর্যন্ত সব বাস-ট্রাকসহ সাধারণ যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার প্রস্তাব দেন তিনি।

এছাড়া ইজতেমায় আগত বিদেশিদের ভিসা সহজ করার ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

বিশেষ অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, 'কোভিড সংক্রমণ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। কোভিড পরিস্থিতি মাথায় রেখে অর্থাৎ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে ইজতেমায় অংশ নিতে হবে।'

সভায় জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, 'ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সিসিটিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার ও রুফটপ থেকে পুরো ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও স্পেশালাইজড টিমসহ সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা থাকবে। তুরাগে নৌ-টহলও থাকবে।'

ইজতেমায় আগতদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ঢাকার বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করবে এবং রোগী পরিবহনের জন্য সার্বক্ষণিক ১৪টি অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন থাকবে বলে সভায় জানানো হয়।

গাজীপুর জেলা প্রশাসন, সেনা ও র‍্যাব কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থা, হাইওয়ে পুলিশ, গাজীপুর সিভিল সার্জন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, ডেসকো, তিতাস গ্যাস, ওয়াসা, বিআরটি, ফায়ার সার্ভিস, জনস্বাস্থ্য বিভাগসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Former CEC ATM Shamsul Huda passes away at 83

As CEC, Huda oversaw the ninth parliamentary elections in 2008

1h ago