টেন্ডারের ৭ মাসেও শুরু হয়নি সেতুর নির্মাণকাজ

জন ভোগান্তি
নরসিংদীর রায়পুরার মরজালে আঞ্চলিক সড়কে খালের ওপর পুরনো সেতুটি ভেঙে পড়ায় নতুন সেতু তৈরির টেন্ডার দেওয়া হলেও এখনো কাজ শুরু হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর রায়পুরার মরজালে আঞ্চলিক সড়কে খালের ওপর পুরনো সেতুটি ভেঙে পড়েছিল অনেকদিন আগে। প্রায় ৭ মাস আগে নতুন সেতু নির্মাণের দরপত্র হলেও সেতুর নির্মাণকাজ এখনো শুরু হয়নি।

এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এ সড়কে চলাচলকারী মরজাল এলাকার সাধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয়রা বলছেন, ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সেতুর নির্মাণকাজ এখনো শুরু হয়নি। ফলে, অতিরিক্ত ধুলাবালি ও রাস্তার বেহাল দশা হওয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, পত্রিকায় সেতু নির্মাণের টেন্ডার নোটিশ দেওয়া হলে যথাযথ নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৩ জুন মঈনুল ট্রেডার্স সেতু নির্মাণের কাজ পায়।

১৫ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডারের এই সেতুর নির্মাণ খরচ ধরা হয় ১ কোটি ৬০ লাখ ১৪ হাজার টাকা। সেতু নির্মাণের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৩ সালের নভেম্বরে।

সরেজমিনে গত রোববার দুপুরে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভাঙা সেতুর বিকল্প সড়কে বড় বড় গর্ত আছে। ওই কাচা সড়কে যাত্রী-মালামাল নামিয়ে দেন চালকরা।

বেহাল এ সড়কে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

নরসিংদী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই খালের ওপর আগে ছোট ব্রিজ ছিল। নতুন ব্রিজের জন্য গত ৭ মাস আগে পুরনো ব্রিজ ভেঙে সেখানে আরসিসি গার্ডার সেতু তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।'

তিনি আরও বলেন, 'কী কারণে সেতুর কাজ থমকে আছে তা জানা নেই। আমাদের কলেজের বাস এ রাস্তা দিয়ে যাওয়া-আসা করে। চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।'

স্থানীয় স্কুলশিক্ষার্থীরা জানায়, এ পথ দিয়ে তাদের প্রতিদিন স্কুলে যেতে হয় বলে তাদের ভোগান্তি অন্যান্যদের চেয়ে একটু বেশি।

মরজাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সেতুর কাজে দেরি হচ্ছে। কেন হচ্ছে, তা জানি না। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা সেতুর কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বারবার উপজেলা প্রকৌশলীকে বলার পরও কাজ শুরু হচ্ছে না।'

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মঈনুল ট্রেডার্সের অংশীদার মামুন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সেতু তৈরির জন্য ৩ বার সয়েল টেস্ট পরিবর্তন করা হয়েছে। আগে গভীরতা ছিল ৭০ ফুট, এখন ১০০ ফুট গভীরতার কথা বলা হয়েছে। শ্রমিক থাকার জন্য ঘর তৈরি করা হয়েছিল। ঘরসহ অনেক মালামাল চুরি হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত কাজ বুঝে পাবো।'

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী শামীম ইকবাল মুন্না ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সেতু তৈরির স্থানে ৩ বার সয়েল টেস্ট করা হয়েছে। টেস্টে সমস্যার জন্য দেরি হয়েছে। আশা করি, কাজ দ্রুত শুরু হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh alleges border abuse by BSF

Those pushed-in allege torture, abuses in India

A Bangladeshi woman has alleged that India’s Border Security Force (BSF) tied empty plastic bottles to her and her three daughters to keep them afloat, then pushed them into the Feni river along the Tripura border in the dark of night, in a chilling account of abuse at the border.

6h ago