স্নায়ুচাপে ভুগছিল ভারতের ড্রেসিংরুম

kl rahul & Shakib AL Hasan
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

লক্ষ্য ছিল মোটে ১৪৫ রানের। তবে সেই লক্ষ্যই এক পর্যায়ে হয়ে গিয়েছিল পাহাড়সম। সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজদের স্পিনে কাবু হয়ে ভারতের টপ অর্ডার ধসে যাওয়ার পর ম্যাচ হেলেছিল বাংলাদেশের দিকেই। শেষ পর্যন্ত রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও শ্রেয়াস আইয়ার ম্যাচটা বের করে নেন। এই সিরিজে ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়া লোকেশ রাহুল জানালেন, একটা পর্যায়ে স্নায়ুচাপে আক্রান্ত ছিল তাদের ড্রেসিংরুম।

মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের বেশিরভাগটাতে ভারতই ছিল স্পষ্ট ফেভারিট। শেষ সেশনে ম্যাচের নাটাই ঘুরে যায়। ৩৭ রানে ভারতের ৪ উইকেট ফেলে ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার করতে থাকে বাংলাদেশ। নাটকীয়ভাবে স্মরণীয় এক জয়ের সম্ভাবনা উঁকি দিতে থাকে সাকিবদের।

চতুর্থ দিনে ম্যাচ জিততে ভারতের দরকার ছিল ১০০ রান, বাংলাদেশের ৬ উইকেট। বাংলাদেশের জন্য এদিন সবচেয়ে চিন্তার কারণ হতে পারতেন রিশভ পান্ত। সকাল বেলা নেমে পান্তসহ ভারতের আরও তিন উইকেট দ্রুত উপড়ে দেয় বাংলাদেশ। এক পর্যায়ে ভারতের স্কোর পরিণত হয় ৭ উইকেটে ৭৪ রানে।

তবে আর উইকেট পড়েনি। অশ্বিন-শ্রেয়াস মিলে বাকি ৭১ রান নিয়ে হারিয়ে দেন বাংলাদেশকে। ম্যাচ শেষে কথ বলতে এসে রাহুল জানান, সকালে একের পর এক উইকেট পতনে তাদের ড্রেসিংরুমে ছড়িয়ে পড়েছিল আতঙ্ক,  'কঠিন ম্যাচ ছিল। স্বস্তির ব্যাপার যে কাজটা আমরা শেষ করতে পেরেছি। আমরা বেশ সমস্যায় পড়েছিলাম, ড্রেসিংরুম স্নায়ুচাপে ভুগছিল। খুবই খুশি যে অশ্বিন ও শ্রেয়াস জুটি গড়ে ম্যাচটা জিতিয়েছে। কন্ডিশন খুব কঠিন ছিল, এটাই টেস্ট ক্রিকেটকে মজার করেছে। যখন কন্ডিশন কঠিন হয়, তখন আপনার কারেক্টার পরীক্ষা হয়। আমরা এভাবে খেলতে পছন্দ করি। কঠিন ম্যাচ কিন্তু যখন স্মরণীয় জয় আসে তখন সেটা মধুর ব্যাপার।'

চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে ১৮৮ রানের বড় জয়ের পর ভারত মিরপুরে পায় রোমাঞ্চকর ৩ উইকেটের জয়। দুই টেস্ট সিরিজ জিতে নেয় ২-০ ব্যবধানে। এর আগে ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। সব মিলিয়ে দুই দলের ভালো লড়াইয়ের কারণে সিরিজটা দুর্দান্ত বললেন রাহুল, 'খুবই ভালো সিরিজ। অনেক ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। অনেক কিছু শেখার ছিল। ওয়ানডে সিরিজ হারটা ভালো ছিল না, কিন্তু হার থেকেও শেখা যায়। টেস্ট সিরিজে খুব ভালো লড়াই হলো। বাংলাদেশ খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছে। ৩০-৩২ ওভার পর্যন্ত তারাই দাপট দেখাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত আমাদের জন্য কাজটা করে দিয়েছে অশ্বিন ও শ্রেয়াস। এটা দুর্দান্ত সিরিজ। আশা করছি পরেরবার এখানে এলে অনেক কিছু নিয়ে প্রস্তুত হয়ে আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে পারব।'

Comments

The Daily Star  | English

Remittances grow 3% in January

Migrants sent home $2.18 billion in the first month of 2025

2h ago