বাগেরহাটে বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর, জেলা আহ্বায়কের বাড়িতে হামলা

বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিমের বাড়িতে ভাঙচুরের চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

বাগেরহাট শহরের সরুই এলাকায় অবস্থিত জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আহ্বায়কের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে।

এর পাশাপাশি শ্রমিক দলের সাবেক জেলা সভাপতির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফার পাশাপাশি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তির দাবিতে আজ শনিবার ঢাকা ছাড়া সব জেলা ও মহানগরে বিএনপির গণমিছিলের কর্মসূচি ছিল।

বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিমের অভিযোগ, আজ সকালে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তার বাড়িতে হামলা করে এবং ভাঙচুর চালায়।

তিনি বলেন, 'আমার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী শনিবার সকাল ১০টার দিকে মারা যান। আমরা মরহুমার দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল এসে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তখন মৃত্যুর খবর শুনে বাড়িতে আসা আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের ধাওয়া দেয় তারা। ঘরের চেয়ার ভাঙচুর করে।'

আর দলীয় কার্যালয়ে হামলার প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, 'সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এসে আমাদের কার্যালয়ের দরজা-জানলা ভাঙচুর করে। এছাড়া পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারও করেছে। যে কারণে কেন্দ্র থেকে ঘোষিত কর্মসূচি আমরা পালন করতে পারিনি।'

এ বিষয়ে আহ্বায়ক আকরাম হোসেন বলেন, 'সকাল থেকেই পুলিশ আমাদের কার্যালয় পুলিশ ঘেরাও করে রাখে। এ কারণে আমাদের কোনো নেতা-কর্মী সেখানে ঢুকতে পারেনি। তারপরেও মিছিল করার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পুলিশ ৪ জনকে আটক করে।'

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিয়ান আল সুলতান ওশানের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এ বিষয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপিতে ২টি গ্রুপ আছে। তবে এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ জানাতে আসেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

কাটাখালীতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ

এদিকে আজ সকালে বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের কাটাখালী মোড়ে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা এক বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন।

সমাবেশের পর ফকিরহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় বাদী হয়ে ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনের নামে একটি নাশকতার মামলা দায়ের করেন বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান।

এ মামলায় কাটাখালীসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

10h ago