চুয়ামেনির বাইরে পেনাল্টি নেওয়ার পেছনের গল্প জানালেন মার্তিনেজ
পেনাল্টি নেওয়ার সময় গোলবারের সামনে এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে পেলে যেন মনস্তাত্ত্বিকভাবে কিছুটা পিছিয়ে পড়েন প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা। স্পটকিক রুখে দেওয়াটাকে রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন ৩০ বছর বয়সী গোলরক্ষক। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে আরও একবার গোলবারের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি, টাইব্রেকারে রুখে দেন কিংসলে কোমানের শট। পরের পেনাল্টি নিতে এসে লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন অহেলিয়া চুয়ামেনি। এবার মার্তিনেজ জানালেন কিভাবে তিনি মনস্তাত্ত্বিক খেলায় মেতেছিলেন ২২ বছরের এই তরুণের সঙ্গে।
গত রোববার (১৮ ডিসেম্বর) কাতার বিশ্বকাপের তুমুল উত্তেজনার ফাইনাল ম্যাচের নিস্পত্তির জন্য প্রয়োজন পড়েছিল টাইব্রেকারের। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে বারবার আর্জেন্টিনা এগিয়ে গেলেও কিলিয়ান এমবাপে খেলায় ফেরান ফ্রান্সকে। শেষ পর্যন্ত পেনাল্টিতে মার্তিনেজের দৃঢ়তায় ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ খরা ঘুচাতে সক্ষম হয় লিওনেল মেসির দল। মরুর বুকের আসর শেষে দেশে ফেরার পর আলবিসেলেস্তে গোলরক্ষককে তার জন্মস্থান মার দেল প্লাতাতে সংবর্ধনা দেয় হাজারো মানুষ। সেখানে মার্তিনেজ বলেন, আগে থেকেই জানতেন যে চুয়ামেনি কিছুটা নার্ভাস থাকবেন।
বৃহস্পতিবার আর্জেন্টাইন গণমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস তাদের এক প্রতিবেদনে তুলে ধরে তাদের গোলরক্ষকের বক্তব্য, 'যখন আমি বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রথম পেনাল্টি (কোমানের নেওয়া ফ্রান্সের দ্বিতীয় পেনাল্টি) রুখে দিলাম আমি জানতাম যে অন্য ছেলেটা (চুয়ামেনি) নার্ভাস থাকবে। বল ছুড়ে দিয়ে ও তার সঙ্গে কথা বলে আমি মনস্তাত্ত্বিকভাবে খেলার চেষ্টা করেছিলাম... এবং সে এটা (পেনাল্টি) বাইরে মারল, সবকিছুই ভেস্তে দিলো সে।'
গতবছর আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ের পিছনেও অবদান ছিল মার্তিনেজের। সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে আলবিসেলেস্তের জয়ের নায়ক ছিলেন তিনিই। পেনাল্টিতে বারবার এমন সফলতা নিয়ে দিবু (মার্তিনেজের ডাকনাম) বলেন, 'এটা এমন একটা বিষয় যেটা ঐ মুহূর্তে (পেনাল্টি ঠেকানোর সময়) আমার মাঝে এসে পড়ে। আমি জানি পেনাল্টির সময় আমি শক্তিশালী হয়ে উঠি। আমি জানা তারা (প্রতিপক্ষ) আমাকে সম্মান করে, প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়রা আমাকে এমনটা বলেছে।'
শুধু ফাইনাল নয়, মরুর বুকে গোটা বিশ্বকাপেই গোলবারের সামনে দুর্দান্ত ছিলেন মার্তিনেজ। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারানোর পিছনেও ছিল তার হাত। পাশাপাশি আসরজুড়ে করেছেন একাধিক নান্দনিক সেভ। এমন পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ কাতার বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকও নির্বাচিত হন অ্যাস্টন ভিলা কিপার।
Comments