আদায় না হওয়া সুদ আয় হিসেবে দেখাতে পারবে ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সুদের কিস্তি পরিশোধের সুবিধাপ্রাপ্ত মেয়াদী ঋণের ওপর বকেয়া সুদ আয় হিসেবে দেখাতে পারবে ব্যাংক।

বিষয়টি জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে।

গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা নোটিশ অনুযায়ী ঋণ পরিশোধ নীতি শিথিলের সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের বকেয়া সুদ আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে।

ওই নোটিশে বলা হয়েছিল, ঋণগ্রহীতারা ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকে প্রদেয় কিস্তির ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলে, তারা আর খেলাপি হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হবেন না। আগের নীতি অনুযায়ী ৭৫ শতাংশ কিস্তি দিলে এই সুবিধা পাওয়া যেত।

আজকের চিঠিতে বলা হয়, সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের সম্ভাব্য আদায় ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে ২০২২ সালের আরোপিত সুদ নিয়ম অনুযায়ী আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে।

তবে পুনঃতফসিলকৃত ঋণ, পুনর্গঠিত ঋণ বা এককালীন এক্সিট সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের বিপরীতে আরোপিত সুদ নগদ আদায় ছাড়া আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে না।

সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের বিপরীতে অতিরিক্ত ২ শতাংশ জেনারেল প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে ব্যাংকগুলোকে। তবে সিএমএসএমই খাতের সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের বিপরীতে অতিরিক্ত ১ শতাংশ জেনারেল প্রভিশন সংরক্ষণ করা যাবে।

তবে এই অতিরিক্ত প্রভিশন স্পেশাল জেনারেল প্রভিশন কোভিড-১৯ খাতে স্থানান্তর করতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত তা এই সংরক্ষিত প্রভিশন ছাড়া অন্য কোনো খাতে স্থানান্তর করা যাবে না।

সুবিধাপ্রাপ্ত কোনো ঋণ নগদ আদায় করে পুরোপুরি পরিশোধ হলে আগে সংরক্ষিত অতিরিক্ত জেনারেল প্রভিশনের অর্থ ব্যাংকের নিজস্ব বিবেচনায় আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে।

খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণ করা হলে, আগে সংরক্ষিত অতিরিক্ত জেনারেল প্রভিশন ব্যাংকের সিদ্ধান্তে যথাযথ খাতে স্থানান্তর করা যাবে।

এসব ক্ষেত্রে ঋণের তথ্য, যেমন ঋণগ্রহীতার নাম, ঋণ স্থিতি, ধার্যকৃত সুদ, আয়খাতে স্থানান্তরিত সুদ, অতিরিক্ত প্রভিশনের পরিমাণ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় এবং প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে সংরক্ষণ করতে হবে।

ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংকগুলোও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এসব নীতিমালা অনুসরণ করে একইভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

এসব নির্দেশনা শিগগির কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
 

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

3h ago